থাইল্যান্ডের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে লড়বেন দেশটির রাজকুমারী উরোলরতনা রাজকন্যা সিরিবাধন ভারনাভাদি। থাই রাকসা চার্ট পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন থাই রাজকুমারী। তিনি বর্তমান রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের বড় বোন।
প্রচলিত রীতি ভেঙে আজ শুক্রবার থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতা জমা দিয়েছেন ৬৭ বছর বয়সী থাই রাজকুমারী। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও সর্বশেষ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার অনুগত দল থেকেই প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
আগামী ২৪ মার্চ থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচাও এই নির্বাচনে ফের প্রধানমন্ত্রী পদে লড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সামরিক বাহিনীর অনুগত পালং প্রচারাত পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। থাইল্যান্ডের সামরিক শাসনের অধীনে পাঁচ বছর পর গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার প্রথম সুযোগ হিসেবে নির্বাচনটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের মতো থাইল্যান্ডের রাজারাও নিজ দেশের রাজনীতির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখেছেন। তবে সেই রীতি ভেঙে এবার সরাসরি রাজনীতির মাঠে নামলেন রাজকুমারী সিরিবাধন। যা থাই রাজপরিবারের কোনো সদস্যেরও সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এই প্রথম।
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ ২০১৪ সালে ইংলাক সিনাওয়াত্রা সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় বসেন। অন্যদিকে রাজকুমারী যে দলটি থেকে প্রার্থী হয়েছেন, সেই দলটি সিনাওয়াত্রার অনুগত। ফলে তারাই হবেন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
ব্যাংককে বিবিসি দক্ষিণ এশিয়ার করেসপন্ডেন্ট জোনাথন হেড বলছেন, ‘রাজকুমারী প্রার্থী হয়েছেন। বাস্তবতা হলো, তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যাবে না। থাই রাজনীতিকে উল্টে দিলো তার এই সিদ্ধান্ত।’
১৯৭২ সালে এক মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করায় রাজপরিবারের সদস্যের সম্মান হারান রাজকুমারী সিরিবাধনের কাছ থেকে। পরে নব্বইয়ের দশকে ওই মার্কিনির সঙ্গে রাজকুমারীর বিচ্ছেদ হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে রাজপরিবারের সদস্যের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া না হলেও সাধারণ মানুষ তাকে রাজকুমারী হিসেবেই গণ্য করে থাকে।