ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সদস্যদের সঙ্গে প্রথমবার বৈঠক করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রা। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকে ভাই রাহুল গান্ধী থেকে দূরত্ব রেখে বসেন তিনি। আর তা নিয়েই ভারতের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নানা গুজব।
বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পাশের আসনে বসেন প্রিয়াঙ্কা। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদসংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, একটি সঙ্গত কারণেই, ভাই রাহুল গান্ধীর থেকে একটি আসন পরে তিনি বসবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইসিসির অন্যান্য সাধারণ সম্পাদকদের মতোই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও সমান গুরুত্বপূর্ণ বোঝাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল প্রায় ১৫ মিনিট আইসিসির ঘরে ছিলেন প্রিয়াঙ্গা গান্ধী। সেই সময় দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তিনি। বৈঠক চলাকালীন ভিড় সামাল দিতে হিমসিম খান নিরাপত্তাকর্মীরা। দলীয় কর্মীরা তাকে ঘিরে শ্লোগান দিতে থাকেন, ‘প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আয়া হ্যায়, নয়া রোশনি লায়া হ্যায় (প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এসেছেন, নতুন আলো নিয়ে এসেছেন)।’
স্বাভাবিকভাবেই প্রিয়াঙ্কার আগমণকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বিজেপির নেতাদের মন্তব্যে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ‘রাবণ’ এবং প্রিয়াঙ্কাকে ‘সূর্পণখা’ বলে মন্তব্য করা হচ্ছে। এক নেতার কথায়, ‘ভাল নেতার অভাবে লোকসভা নির্বাচনে “সুন্দর মুখ” নিয়ে আসছে কংগ্রেস।’ অপর এক নেতার দাবি, “সৌন্দর্য” ছাড়া আর কোনো গুণ নেই প্রিয়াঙ্কার।
তবে তাতেও হতোদ্যম নয় কংগ্রেস। পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অরিন্দর সিং বলেন, দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একটি দারুণ দল তৈরি করবেন,লোকসভা ভোটে যা ধুয়ে মুছে ফেলবে মোদী সরকারকে।
গত ২৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রা। এনডিটিভি বলছে, উত্তরপ্রদেশের ৮০ টি লোকসভা কেন্দ্রের ৪৪ টির দায়িত্বে সামলাবেন তিনি, বাকি আসনগুলোর দায়িত্বে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আগামী সোমবার থেকে তারা দুজনেই, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে রোড শো করতে চলেছেন।