সংস্থার নাম ‘কোয়াড্রিগা সিএক্স'। মাত্র পাঁচ বছর আগে এই সংস্থা শুরু করেছিলেন জেরাল্ড কটন নামে এক যুবক। কিন্তু গত ৯ ফেব্রুয়ারি ক্রোনস ডিজিজ নামে এক ধরনের পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে বিপাকে পড়েছেন সংস্থাটি।
জানা গেছে, তার কম্পিউটারে ২০০ মিলিয়ন ডলার। টাকার হিসাবে ১৪৩১ কোটি টাকা। তবে নগদ বা চেক নয়, বিটকয়েন, লাইটকয়েন বা ইথার জাতীয় মুদ্রা জমা রেখেছেন তিনি।
সমস্যা শুরু হয় তার মৃত্যুর পরই। কারণ জেরাল্ড কটন তার ল্যাপটপ, ই-মেইল ও মেসেজিং সিসটেমের পাসওয়ার্ড সিকিওর্ড গোপন রাখতেন। এসব জানতেন একমাত্র কটনই। সংস্থার অন্য কোনো ব্যক্তি বা অন্য কোথাওই সেই সব পাসওয়ার্ড তিনি রাখেননি। ফলে সংস্থার তরফ থেকে তাদের ক্রেতাদের টাকা দিতে পারছে না কোয়াড্রিগা সিএক্স।
জানা গেছে, নোভা স্কোশিয়ার হ্যালিফ্যাক্সে এই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোর্টে উপস্থিত ছিলেন মৃত জেরাল্ড কটনের স্ত্রী জেনিফার রবার্টসন। তিনি জানান, তার কাছেও কোনো পাসওয়ার্ড নেই। এবং এক্সপার্ট হ্যাকার এনেও কোন কাজ হয়নি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন কোয়াড্রিগা সিএক্স-এর কর্ণধার জেরাল্ড কটন আসলে মারা যাননি। এমনও জানা গেছে যে, অনলাইনে লেনদেনও হচ্ছে।