কোষাগার ভরতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান। দেশটিতে বেড়েছে গাধার সংখ্যা। তাই সেগুলোকে চীনে রপ্তানি করে আয়ের ভাবনা ইসলামাবাদের। ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে পথে আনতে চীনকে গাধা রপ্তানির সিদ্ধান্তে এরই মধ্যে সবুজ সংকেত দিয়েছে ইমরান খানের সরকার।
গাধার সংখ্যার নিরিখে পাকিস্তান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। পাকিস্তানের গাধা কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে চীনা একটি সংস্থা। এই গাধা তারা কৃষিকাজে ব্যবহার করবে। চীনা সংস্থা যখন এই প্রস্তাবটি দেয়, সেটি সঙ্গে সঙ্গে লুফে নেয় ইমরান খানের সরকার। গাধা রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্যের নতুন দিক খুলে গেল পাকিস্তানের কাছে। হিসেব কষে তারা দেখেছে গাধা রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ ডলার দেশের রাজকোষে জমা পড়বে। তাতে কিছুটা হলেও হাল ফিরবে দেশের অর্থনীতির।
ইমরান খান প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো চীনা একটি কম্পানি কৃষিকাজে গাধা ব্যবহারের আগ্রহ দেখিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে গাধাভিত্তিক দুটি ফার্ম তৈরি করা হবে। এর জন্য প্রথম তিন বছরে পাকিস্তান চীনের কাছে ৮০ হাজার গাধা রপ্তানি করবে। চীনা কম্পানি এর জন্য তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
জানা গেছে, খাইবার পাখতুনখোওয়ারের প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দার জীবিকা এই গাধার ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে, চীনে গাধার কদর মারাত্মক। ঐতিহ্যগত চীনা মেডিসিন উৎপাদনে গাধার চামড়া ব্যবহার করা হয়। গিলোটিন তৈরি হয় গাধার চামড়া দিয়ে। কিছুদিন আগে চীনে গাড়ি ও চুল রপ্তানি করেছিল পাকিস্তান। এবার গাধা রপ্তানি করতে চলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করায় আগেই মার্কিন অনুদান বন্ধ হয়েছে পাকিস্তানের। তাই গাধা, চুল ও গাড়ি বিক্রি করে আর্থিক ঘাটতি পূরণের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সূত্র : আজকাল।