Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এপ্রিলের মধ্যে অর্ধেক মার্কিন সেনা ফিরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র: তালেবান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:১১ PM
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:১১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


চলতি বছরে এপ্রিল মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক সেনা ফিরে যাবে বলে জানিয়েছেন তালেবানের এক মুখপাত্র। তালেবানের সঙ্গে এমনটিই নাকি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। তবে সৈন্য প্রত্যাহারের কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

মস্কোতে আফগান তালেবান ও অন্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলাকালেই একথা জানান তালেবান মুখপাত্র আবদুল সালাম হানাফি। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা চলতি মাস থেকেই সেনা প্রত্যাহার শুরু করবেন। ‍

হানাফি সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদেরকে জানিয়েছে ফেব্রুয়ারি থেকেই তারা সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে। এপ্রিলের শেষ নাগাদ অর্ধেক সৈন্য তারা প্রত্যাহার করে নেবে।

তবে পেন্টাগনে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল রব ম্যানিং জানান, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনো আদেশ পায়নি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা অব্যাহত আছে। তবে প্রতিরক্ষা বাহিনী সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনার কোনো আদেশ এখনো পায়নি।

একইসঙ্গে কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর আরেকজন মুখপাত্র এমন সিদ্ধান্তের কথা অস্বীকার করে বলেন, আফগানিস্তান যাতে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল হিসেবে কাজ না করে সেজন্য সব পক্ষই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। যখন এই বিষয়টি নিশ্চিত হবে তখনই সৈন্য সংখ্যা কমানোর কথা ভাবা হবে।

তালেবান প্রতিনিধিদের প্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই এর বক্তব্য অবশ্য হানাফি থেকে ভিন্ন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের কোনো সময়সীমা নির্ধারিত হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে একমত হয়েছে। সেক্ষেত্রে তারা এ বিষয়েও একমত হয়েছে যে, আফগানিস্তান আর কখনও যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হবে না। একইসঙ্গে সেনা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে তালেবান একটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটিও গঠন করবে।

মস্কোতে বুধবার তালেবান আফগানিস্তানের শীর্ষ রাজনৈতিকদের সঙ্গেও বৈঠক করছে। তবে সেই আলোচনায় কাবুল সরকারের কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।

তালেবান কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে থাকা স্টানিকজাইকে সাধারণত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সামনে খুব একটা দেখা যায় না। তবে ওই বৈঠকে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এর সঙ্গে তাকে দেখা গেছে।

আলোচনার বিষয়ে স্টানিকজাই বলেছেন, এই আলোচনা ছিল খুবই ফলপ্রসূ। আমরা বেশকিছু বিষয়ে একমত হয়েছি। আমি আশাবাদী ভবিষ্যতে এই আলোচনায় আমরা সফল হব এবং একটা চূড়ান্ত সমাধানে আসতে পারব। যার মাধ্যমে আফগানিস্তানে একটা পরিপূর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

এদিকে তালেবানের সঙ্গে আলোচনার ফলাফল খুবই সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। তালেবান দমনে ১৭ বছর লড়াই এর পর সবশেষ কাতারের মধ্যস্থতায় এই শান্তি আলোচনা শুরু হয়। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে দোহায় সেই আলোচনায় উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।

আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানিকে এই শান্তি আলোচনায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার গুরুত্ব বুঝানোর চেষ্টা করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

সরকারের সম্পৃক্ততা ছাড়াই আফগানিস্তানের বিরোধী দল ও তালেবানের সঙ্গে মস্কোয় আলোচনা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আশরাফ গানি। কাবুল ভিত্তিক এক বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মস্কোর এই আলোচনা একটি অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছু্ই নয়। আফগান জনগণের সম্মতি ছাড়া কেউ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। মস্কোতে যারা একত্রিত হয়েছে তাদের কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই।

Bootstrap Image Preview