Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মধ্যপ্রাচ্যে কসাইদের সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র: ইরান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:২৭ PM
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:২৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে একনায়ক, কসাই ও উগ্রপন্থীদের সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্টেট অব ইউনিয়নের ভাষণের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গত বছরের মে মাসে বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের বহুপক্ষীয় চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে আসার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এর পর দেশটির ওপর সব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন তিনি।

টুইটারে জাভেদ জারিফ বলেন, মার্কিন বৈরিতাসুলভ মনোভাব কেবল একনায়ক, কসাই ও উগ্রপন্থীদের সমর্থন জানিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র যাদের সমর্থন করছে, তারা আমাদের এ অঞ্চলে কেবল ধ্বংস বয়ে এনেছে।

এর আগে ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ বলেন, ইরানের ওপর নজর রাখতে আমাদের মাটি ব্যবহারের অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

সোমবার তিনি যখন এমন কথা বললেন, তার একদিন আগে সিবিএস নিউজ চ্যানেলে ফেস দ্য নেশন প্রোগ্রামে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন- ইরানকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতি বজায় রাখা জরুরি। কারণ ইরানই মূল সমস্যা।

বাগদাদে একটি ফোরামের বৈঠকে বারহাম সালিহ বলেন, ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবৃতিতে আমরা যারপরনাই বিস্মিত। আমাদের দেশে সেনা রেখে ইরানের ওপর নজর রাখতে ট্রাম্প কোনো অনুমতি নেননি।

ফেস দ্য নেশনে ট্রাম্প বলেন, তেহরানের ওপর ওয়াশিংটন যাতে নজর রাখতে পারে, সে জন্য ইরাকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জবাবে সালিহ বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে মার্কিন বাহিনীর একমাত্র মিশন হচ্ছে- সন্ত্রাসাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা; প্রতিবেশী ইরানকে পর্যবেক্ষণ করা না। ইরাকে মার্কিন সেনা সদস্যের সংখ্যা ও তাদের মিশনের ধরন সম্পর্কে পরিষ্কার ব্যাখ্যার অপেক্ষায় আছি আমরা।

তিনি বলেন, মার্কিন বাহিনীর অনেক বিষয় পর্যবেক্ষণ করার অধিকার নেই। বিশেষ করে ইরানের ওপর নজরদারি। আমরা কখনই এমনটি অনুমোদন করব না।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতিতে মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে- ইরানের প্রতি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা।

সোমবারের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরাকের আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে প্রচুর অর্থ খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ডিসেম্বরে তিনি ওই ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অংশে নজর রাখতে এটি খুবই উপযুক্ত অবস্থানে আছে।

তিনি ইরানে হামলা চালাতে সক্ষমতা অর্জন বোঝাচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাহ! আমি চাই ইরানের ওপর নজর রাখতে। আমি যা কিছু চাচ্ছি, তা হচ্ছে- ইরানের ওপর নজর রাখা।

তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির মধ্যে কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে ইরাক। ২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর ইরাকে নিজের প্রভাব আরও সম্প্রসারিত করেছে ইরান।

Bootstrap Image Preview