Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাতক্ষীরায় ৬ ঘণ্টা পরীক্ষা দিল ৪৮ শিক্ষার্থী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:২৮ PM
আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:২৯ PM

bdmorning Image Preview


দেশব্যাপী এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে গতকাল ২ ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এদিন দেশের চারটি জেলার কিছু কেন্দ্রে ২০১৮ সালের প্রশ্ন পত্রে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা ঘটে। জেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও মুন্সীগঞ্জ। যদিও কোনো কোনো জায়গায় পরে নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল এপিসি বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে ৪৮ জন পরীক্ষার্থীর বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রসচিব সুখলাল বাইনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে প্রায় তিন ঘণ্টা পর নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের ফের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র বণ্টনের প্রায় তিন ঘণ্টা পর বিষয়টি সবার নজরে আসে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে পরে তাদের নতুন বছরের প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ছিল বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। চাম্পাফুল এপিসি স্কুল কেন্দ্রে ৪৪০ পরীক্ষার্থীর বেশির ভাগের হাতে এ বছরের প্রশ্ন পৌঁছালেও ৪৮ জন পরীক্ষার্থীর হাতে আসে ২০১৮ সালের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র। তারা এই প্রশ্নে পরীক্ষাও দেয়। বেলা ১টা বাজার কয়েক মিনিট আগে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। পরে তাদের সব উত্তরপত্র সংগ্রহ করে নেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো জানান, তাৎক্ষণিকভাবে যশোর বোর্ডের অনুমতি নিয়ে ওই ৪৮ জনের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় নতুন বছরের প্রশ্নপত্র। দুপুর ১টা থেকে শুরু হয় তাদের পরীক্ষা।

এদিকে চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে চট্টগ্রামের চারটি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া শনিবার সারাদেশে একযোগে বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও ওই চার কেন্দ্রে গণিত পরীক্ষা দিয়েছে পরীক্ষার্থীরা। তাও আবার ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণীত গণিত প্রশ্নপত্রে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা চারটি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার খবর পেয়েছি। তবে কতজন পরীক্ষার্থী এ ভুলের শিকার হয়েছেন তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। বিস্তারিত খবর নেওয়ার পর বলতে পারবো।

ভুলপ্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মিউনিসিপ্যাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজারের প্রেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র।

 মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় এভিজেএম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার বাংলা বিষয়ে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে ৭৯ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আসমা শাহীন বলেন, ‘কক্ষ পরিদর্শকের ভুলে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানিয়েছি। এটা কক্ষ পরিদর্শকের ভুল। বিষয়টি হলসুপার বা কেন্দ্রসচিবকে জানানোর কথা থাকলেও কক্ষ পরিদর্শক তা জানায়নি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য বোর্ড এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জেলা প্রশাসকও বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছেন।’

পরীক্ষার্থীদের দাবি, সৃজনশীল অংশের প্রশ্নটি ২০১৮ সালের ছিল। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের কয়েকজন বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানালেও তারা তা আমলে নেননি।

কেকে গভ. ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো. মনসুর রহমান বলেন, ‘সাংঘাতিক ও মারাত্মক একটি ভুল। এ কারণে পরীক্ষার্থীরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কেন্দ্র সচিব, কক্ষ পরিদর্শকের গাফিলতির কারণে এটা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview