প্রকাশ্যে আলিঙ্গন করার ‘অপরাধে’ চাবুক মারা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তার ছেলে বন্ধুকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া দোকানে ঘনিষ্ঠ হওয়ার অপরাধে আরেক নারী ও পুরুষকে প্রকাশ্যে বেত মারা হয়। তবে চাবুক মারার আগে তাদের চারজনকে বেশ কিছুদিন জেলে রাখা হয়েছিল।
ভারতের জি-নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল ইন্দোনেশিয়ার আচের এক মসজিদের সামনে ওই দুই তরুণ-তরুণীকে একটি উঁচু জায়গায় এনে দাঁড় করানো হয়। তারপর তাদের চাবুক মারা হয়। চাবুক মারার ঘটনা দেখতে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশ’ মানুষ।
তাদের উপস্থিতিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও তার ছেলে বন্ধুকে ১৭ বার চাবুক মারা হয়। তাদের ‘অপরাধ’ তারা প্রকাশ্যে একে অপরকে আলিঙ্গন করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, সুমাত্রার এই দ্বীপে জুয়া, মদ্যপান, সমকামিতা ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক প্রতিরোধ করতে শরিয়তি আইন চালু করা হয়েছে। এসব অপরাধের শাস্তি প্রকাশ্যে চাবুক মারা।
বান্দা আচের ডেপুটি মেয়র জয়নুল আরিফিন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বান্দা আচের বাইরের মানুষজন যারা মনে করেন এই শাস্তি খুবই নিষ্ঠুর, তারা এসে দেখুন এই শাস্তি আসলে অনেকটাই মানবিক।
এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে অপ্রাপ্তবয়স্ক এক কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করায় এক ব্যক্তিকে ১০০ ঘা চাবুক মারা হয়। এই ঘটনা নিয়ে অবশ্য দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো বেশ আলোচনা করা শুরু করে।