অনেকেই তাকে একজন পেশাদার অভিনেতা হিসেবেই চেনেন। কিন্তু যারা তাকে জানেন তারা বলতে পারবেন তিনি একজন নামকরা চিকিৎসকও। শুরু থেকেই তিনি চিকিৎসা পেশায় জড়িত আছেন। এখন তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশের শীর্ষতম জনপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজ ( অধ্যাপক ডা. এজাজুল ইসলাম ) ।
পরিচালক নাট্যকার লেখক হুমায়ুন আহমেদের হাত ধরে তার সূচনা হলেও পরে তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে যান। কৌতুক ধর্মী চরিত্রে তিনি শুরুটা করলেও পরে সব ধরণের চরিত্রে নিজেকে মহাঅভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশের নিভু নিভু নাটক, চলচ্চিত্রে শিল্পে তিনি আলোকশিখার মত। পরিচালক লেখক দৈন্যের মাঝেও নিজের অনন্য প্রতিভায় যে কোন নাটক ফিল্মের চরিত্রকে তিনি লোকপ্রিয় করেন। অনেকেই বলেন, এরকম অভিনেতা কলকাতা কিংবা মুম্বাইতে হলে সবাই তাকে আজকের গায়ক নোবেলের মত মহা ভালবাসায় লুফে নিতেন।
এবং ডা. এজাজ উপমহাদেশের একজন সেরা অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি পেতেন। ঢাকার অযোগ্য দৈন্য নাটক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কারণে তার যথার্থ মূল্যায়ণ হয় নি। তার প্রতিভাকেও কাজে লাগানো যায় নি।
কিন্তু তিনি ডাক্তার হিসেবে বড় লোকপ্রিয়। গরীবের ঈশ্বর। মানুষ তাকে ঈশ্বরের পরই ভালবাসে। বাংলাদেশের একজন শীর্ষ সেবাদানকারী চিকিৎসক অধ্যাপক তিনি। সম্প্রতি তিনি তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হয়েছেন।
যোগদানের বিষয়ে ডা. এজাজ মিডিয়াকে বলেন, চিকিৎসক হিসেবে ব্যস্ততা তো আগে থেকেই ছিল। এখন নতুন দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ততা আরেকটু বেড়েছে। সবাই আমাকে অভিনয়শিল্পী হিসেবে ভালোবাসেন।
এই ব্যস্ততার মাঝেও যখনই সময় বের করতে পারবো অভিনয় করবো। একই সঙ্গে চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্বও ঠিকভাবে পালন করে যাবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, ডা. এজাজুল ইসলাম রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) থেকে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর করেন। ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন ‘তারকাঁটা’ চলচ্চিত্রের জন্য।