Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফিলিস্তিনের অর্থনীতিকে সারিয়ে তুলতে অর্থ দিবে কাতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:০০ AM
আপডেট: ২৬ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:০০ AM

bdmorning Image Preview


ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে সারিয়ে তুলতে দুই কোটি ডলার সাহায্য দিচ্ছে উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতার। এর আগে উপত্যকাটির দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দেশটি সরাসরি সহায়তা করতে গেলে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস তা বন্ধ করে দিয়েছিল।

এ উদ্যোগকে কাতার ও প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে আপস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। উপসাগরীয় অঞ্চলে কোণঠাসা হয়ে পড়া কাতার নিজের আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াতে তৎপর।

গাজার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সাহায্যে এগিয়ে আসা কাতারের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদ আল এমাদি। তিনি বলেন, জাতিসংঘের পূর্ণ সহায়তা ও সমন্বয়ে ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক প্রকল্পে কাতারি অর্থ সহায়তা মঞ্জুর হয়েছে।

আগামী সোমবার জাতিসংঘের সঙ্গে কাতারের প্রথম চুক্তিটি সই হবে বলে জানান এমাদি। গাজায় কর্মসংস্থান বাড়াতে এসব অর্থ খরচ করা হবে।

হামাস কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি শুক্রবার বলেন, মানবিক প্রকল্পে কাতারের সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।

আঞ্চলিক রাজনীতির জটিল অচলাবস্থার মধ্যে হামাসের সঙ্গে কাতারের আপস হয়েছে। পশ্চিম তীরে পাশ্চাত্য সমর্থিত ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও গাজায় প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে তিক্ত ক্ষমতার লড়াইয়ে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা মাসের পর মাস বেতনহীন থেকে যাচ্ছেন।

হামাস সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে চাইলেও এক দশকের ইসরাইল-মিসরীয় অবরোধ, যুদ্ধাবস্থা ও আব্বাসের সঙ্গে মীমাংসায় পৌঁছাতে না পারায় তাদের অর্থ ফুরিয়ে গেছে। কয়েক বছর ধরে কর্মীদের বেতন অর্ধেকে নেমে গেছে। কখনো কখনো বেতন দিতে অতিরিক্ত বিলম্ব ঘটছে।

গাজা উপত্যকার সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে অস্বীকার জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আব্বাস। সেখানে কর্মীদের বেতন কাটছাঁট ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় তৈরি করে হামাসকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন তিনি।

হামাসকে অশান্ত ইসলামপন্থী শত্রু হিসেবে বিবেচনা করছে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল। কিন্তু দেশটির আশঙ্কা, গাজায় অস্থিতিশীলতা ইসরাইলের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার গাজায় প্রথমে কাতারি সহায়তা সরবরাহে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু পরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ইতিবাচক বললে তা অনুমোদন পায়।

Bootstrap Image Preview