Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ছাত্রলীগকে দেয়া কথা রাখেনি ছাত্রদল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৬ PM
আপডেট: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আসার ঘোষণা দিয়েও ক্যাম্পাসে আসেনি ছাত্রদল।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সভা শেষে পরদিন মঙ্গলবার থেকে ক্যাম্পাসে আসার এ ঘোষণা দিয়েছিল সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান।

এছাড়া ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধুর ক্যান্টিনে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং বৈধ শিক্ষার্থী হলে তাদের হলে থাকতেও কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান। এরপরেও মঙ্গলবার মধুর ক্যান্টিনে আসতে দেখা যায়নি ছাত্রদলকে।

এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদলের কয়েক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বললেও তারা এ সম্পর্কে কথা বলতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, সোমবার ছাত্রদল নেতা-কর্মী পরিচয়ে কোনো নিয়মিত শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকলে কোনো ধরনের সমস্যা করবে না বলে কথা দিয়েছিল ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এ প্রতিশ্রুতি দেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ৩০-৩৫ ভাগ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। বাকিরা সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মী। ছাত্রদলের নেতাদের প্রতি অনুরোধ, হলগুলোতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের যেসব নেতা-কর্মী রয়েছেন, তাদের তালিকা তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিক। কথা দিচ্ছি, ছাত্রদল নেতা-কর্মী পরিচয়ে কোনো নিয়মিত শিক্ষার্থী হলে থাকলে আমরা কোনো ধরনের সমস্যা করব না।

এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বিগত দুটি সভায় যোগ দিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের নিরাপত্তা নিয়ে এসেছিলাম। আজকে সেটি প্রয়োজন হয়নি। যদি সত্যিকার অর্থেই সহাবস্থান নিশ্চিত হয়, সেটি স্বীকার করতেও আমাদের দ্বিধা নেই। নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার মানসিকতা আমাদের আছে। আমরা চাই ডাকসুটা সচল হোক।

ছাত্রদলের এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগ আজ আমাদের মধুর ক্যান্টিনে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আগামীকাল থেকেই মধুর ক্যান্টিনে আসতে চাই। ক্যাম্পাসে আমাদের আগমনকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি হোক, তা আমরা চাই না। দু-এক দিন সময় নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রলীগের নেতারা তফসিলের আগেই যেন সহাবস্থানের একটা পরিবেশ তৈরি করেন।

Bootstrap Image Preview