ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনকে (ইভিএম) ‘চোর মেশিন’ আখ্যায়িত করে এটি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আব্দুল্লাহ।
স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বার্থে ব্যালট পেপার পুরোপুরি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ইভিএম চোর মেশিন। এর মাধ্যমে কারচুপি করা হয়। বিশ্বের কোনো দেশ এটি ব্যবহার করে না। তাই এটি বন্ধ করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের একযোগে নির্বাচন কমিশন এবং প্রেসিডেন্টের কাছে দাবি জানানো উচিত।’
কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মমতা ব্যানার্জির আহ্বানে বিজেপি হটানোর মহাসমাবেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ দাবি জানান। খবর: এনডিটিভি।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম বন্ধে প্রায় সব বিরোধী দল দাবি তুলেছে। তাদের দাবি, এই মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রভাবিত করা যায়।
যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সুনীল অরোরা বলেছেন, ইভিএম মেশিন অনেকটা ফুটবলের মতো। হারলে তার ঘাড়ে দোষ দেয়া হয়। জিতলে সমস্যা নেই।
একই কথা বলেছেন তার আগের সিইসি ওপি রাওয়াত, ‘কেবল পরাজিত হলেই রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি ট্রেন্ড হয়ে গেছে। জিতলে কেউ ইভিএমকে ক্রেডিট দেন না। কিন্তু, হেরে গেলেই দোষারোপ করেন।’
নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি ব্যালট পেপারে ফিরে আসার দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে।
ক্ষতাসীন বিজেপি বলছে, বিরোধী শিবির তাদের দুর্বলতা ঢাকতেই ইভিএমের বিরোধিতা করে আসছে।
শনিবারের এই মহাসমাবেশে ফারুক আব্দুল্লাহর ছেলে ওমর আব্দুল্লাহসহ ২২টি বিরোধী দলের নেতারা উপস্থিত হন।
এই সমাবেশ মঞ্চ থেকেই বিজেপিকে হঠানোর ডাক দেয়া হয়েছে।
সভায় বক্তব্য দিতে উঠে তিন তালাকসহ নরেন্দ্র মোদি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে জটিল করার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন ফারুক আব্দুল্লাহ।
এই অবস্থায় কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে সরানোটাই সকলের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি এই লক্ষ্য পূরণের জন্য সকল অবিজেপি নেতাদের আত্মত্যাগ করার কথাও বলেন ফারুক আব্দুল্লাহ।