মিয়ানমারের রাখাইনে ‘বৌদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠী’ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী অং সান সু চি।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানী নেপিদোতে এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এই তথ্য জানায়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাখাইনে বৌদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় গত ৪ জানুয়ারি ১৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয় এবং ৯ জন গুরুতর আহত হয়। এরপরই দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাল্টা জবাব নেওয়ার কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তথ্য কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নুই নুই টুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আরাকান ওই আর্মি একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং তাদের দ্রুত নির্মূল করার নির্দেশ দিয়েছেন সু চি।
টুন তথ্য মতে সু চি বলেছেন, তিনি আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযানের নির্দেশ না দিলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পড়বেন।
মিয়ানমারের আইনানুযায়ী কোনো সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করলে তা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।
সেনা কর্মকর্তা আরো জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ বহু দিন থেকেই। আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২০১৫ সালে ১৫ বার, ২০১৬ সালে ২৬ বার, ২০১৭ সালে ৫৬ বার এবং ২০১৮ সালে ৬১ বার সংঘর্ষ হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, গত বছরের ডিসেম্বরে মিয়ানমার ৫টি এলাকায় অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে রাখাইন রাজ্য ছিল না।
সেনা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযানে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে না।