Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাতার থেকে বেড়েছে প্রবাসী আয়

হাসান বখস, কাতার প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:০৯ PM
আপডেট: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:০৯ PM

bdmorning Image Preview


সদ্যসমাপ্ত ২০১৮ সালে কাতার থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) গেছে মে মাসে। এই মাসে বাংলাদেশে কাতার থেকে প্রেরিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৯৯.৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৮৩৪.১২ কোটি টাকা। আর সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স গেছে ফেব্রুয়ারি মাসে। এই মাসে কাতার থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স যোগ হয়েছে ৬৯.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তবে সবমিলিয়ে ২০১৮ সালে কাতার থেকে বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২০১৭ সালের চেয়ে বেশ ভালো, কারণ ২০১৭ সালে কাতার থেকে বাংলাদেশে মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৬৪৩.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০১৮ সালে কাতার থেকে বাংলাদেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন মোট ৯৮৩.৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে কাতার থেকে ৩৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি রেমিট্যান্স যোগ হয়েছে।  

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর প্রকাশিত পরিসংখ্যানে কাতার থেকে বাংলাদেশে পাঠানো মাসওয়ারি রেমিট্যান্সের হিসাবে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসে কাতারপ্রবাসীরা বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন ৭৯.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ফেব্রুয়ারি মাসে ৬৯.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মার্চ মাসে ৮৫.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এপ্রিল মাসে ৮১.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মে মাসে ৯৯.৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জুন মাসে ৮৭.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জুলাই মাসে ৮৭.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগস্ট মাসে ৮৬.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে ৭৭.০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অক্টোবর মাসে ৮০.৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ৭৪.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ৭৪.১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মধ্যে ২০১৮ সালে সৌদিআরব থেকে বাংলাদেশে মোট রেমিট্যান্স গেছে ২৮১১.৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৪২৪.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, কুয়েত থেকে ১৩০২.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ওমান থেকে ৯৮৬.৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাহরাইন থেকে ৫২৬.০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এখনও কাতার থেকে অনেকে বিকাশ ও হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থ পাঠাচ্ছেন। এ প্রবণতা পুরোপুরি বন্ধ করা গেলে কাতার থেকে বাংলাদেশে বৈধ পথে পাঠানো রেমিট্যান্সের হার আরও বাড়বে বলে মনে করছেন এক্সচেঞ্জখাত সংশ্লিষ্টরা।
 

Bootstrap Image Preview