যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তির উপর ভোট মঙ্গলবারেই; এই ভোটে অংশ নিতে বিরোধী লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক তার সন্তান জন্মদানের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন।
ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনের এমপি টিউলিপ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়ার তারিখ দুই দিন পিছিয়েছেন।
মঙ্গলবার স্বামী ক্রিস পার্সি হুইলচেয়ারে করে তাকে পার্লামেন্টে নিয়ে যাবেন।
এই বিলের বিপক্ষে ভোট দিতে সন্তান জন্মদান দুদিনের জন্য পিছিয়ে দিয়েছেন এই এমপি। উত্তর লন্ডনের হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে থাকার বদলে তিনি পার্লামেন্টে যাবেন। মঙ্গলবার তার স্বামী ক্রিস পার্সি হুইলচেয়ারে করে তাকে পার্লামেন্টে নিয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের একদিন পরও যদি আমার ছেলে পৃথিবীতে আসে এবং এতে যদি ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার ভালো সুযোগ আসে, তবে তাই হোক।
তিনি বলেন, আমি আমার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে যদি খুব জরুরি কিছু হয় তবে সে ক্ষেত্রে আমি অবশ্যই আমার সন্তানের স্বাস্থ্যের কথাই আগে চিন্তা করব।
টিউলিপের দুই বছরের একটি মেয়ে আছে। প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় তার গর্ভকালীন জটিলতা দেখা দিয়েছিল।
দ্বিতীয় সন্তান জন্মদানের জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারিতে তার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবারও কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় হ্যাম্পস্টেডের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের তারিখ এগিয়ে সোমবার বা মঙ্গলবার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পরে টিউলিপ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তারিখ দুই দিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার করার অনুরোধ জানান।
চিকিৎসকরা তাকে এটি করতে নিষেধ করেছিলেন জানিয়ে টিউলিপ বলেন, রয়্যাল ফ্রি হাসপাতাল তাদের নিয়মকানুন এবং স্বাস্থ্যসেবার মানের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। আমার গর্ভাবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং আমি চিকিৎসকদের পরামর্শের বিপরীতে গিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাধারণত কোনো এমপি’র সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় আসন্ন হলে বা সদ্যজাত সন্তানের কারণে বা অসুস্থতার কারণে কোনো ভোটে অংশ নিতে না পারলে বিরোধী পক্ষেরও একজন সদস্য ভোটদান থেকে বিরত থাকেন, যাকে ‘পেয়ার’ বলা হয়। কারও অনুপস্থিতি যেন ভোটের ফলে প্রভাব ফেলতে না পারে, তাই এই প্রথা।