Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে কিমকে সম্মতি দিয়েছে শি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:০১ AM
আপডেট: ১১ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:০১ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


খুব শিগগিরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্ভাব্য দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকে বসছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তার আগে শলা-পরামর্শের জন্য চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বেইজিংয়ে ছুটে যান তিনি।

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে সম্মতি দিয়েছেন জিনপিং। সবুজ সংকেত পেয়েই বুধবার বিশেষ ট্রেনে বেইজিং ছাড়েন তিনি। ট্রাম্প-কিমের বৈঠক খুব দ্রুতই হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনও।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়ার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও এএফপি।

অষ্টম পরমাণু শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়াকে নিজেদের ‘নিরাপত্তার প্রতি হুমকি’ বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। সেজন্য কোরীয় উপদ্বীপের এ দেশটির ‘সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ’ চায় ওয়াশিংটন। অন্যদিকে ভঙ্গুর অর্থনীতি চাঙ্গা পিয়ংইয়ং চায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অবসান।

বহু হুমকি-ধামকির পর গত বছরের শুরুর দিকে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। তারই ফলশ্রুতিতে জুলাইয়ে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয় ট্রাম্প-কিমের ঐতিহাসিক প্রথম বৈঠকটি।

দুই নেতার মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা এবং পরবর্তী সময় নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হলেও পিয়ংইয়ংয়ের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় তা থমকে যায়। নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।

নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া ফের শুরু করতে গত কয়েক মাস ধরে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তাদের কোরীয় মিত্র সিউল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে ‘ভিন্ন পথ’ দেখার হুমকি দিয়েই স্ত্রী ও দলবলসহ তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার বেইজিংয়ে যান কিম।

বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে। পরদিন বৃহস্পতিবার কেসিএনএ জানায়, ‘কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি ও নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায়, সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন জিনপিং ও কিম। এক্ষেত্রে ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ংকেও আলোচনায় বসা উচিত বলে মনে করেন জিনপিং।’

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন বলেছেন, ট্রাম্প ও কিমের বৈঠক যে ‘আসন্ন’ কিমের বেইজিং সফরই তার প্রমাণ।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় বৈঠকের ক্ষেত্রে কিমের চীন সফরের একটা ইতিবাচক প্রভাব থাকবে।’

দুই কোরিয়ার পুনর্মিলনে শুরু থেকেই আশাবাদী মুন। মূলত তার উদ্যোগেই ট্রাম্প-কিমের প্রথম বৈঠক সফল হয়েছে। তবে এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তিনি ট্রাম্পকেই দিয়েছিলেন। গত জুলাইয়ে সিঙ্গাপুর বৈঠকের পরিবেশ তৈরি করতেই এপ্রিলে তিনি কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট তিন বার বৈঠক করেছেন তারা। এবারও ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং বৈঠকের আগেই আরেকবার কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। তবে এবার আর সীমান্তে নয় কিম নিজেই আসবেন দক্ষিণের রাজধানী সিউলে।

বৃহস্পতিবার এ কথা নিজেই জানিয়েছেন মুন। এদিকে ওয়াশিংটন কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো।

ট্রাম্প আগামী ফেব্র“য়ারিতে বৈঠকের সম্ভাবনার কথা জানালেও বৈঠক কোথায় হচ্ছে তা এখনও জানায়নি হোয়াইট হাউস।

Bootstrap Image Preview