Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাকে মারধর করে ঘর থেকে তাড়িয়েছে অধ্যাপক ছেলে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:৫৯ PM
আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:৫৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


শুক্রবার, রাত দশটা। কনকনে শীতে পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে একা বসে কাঁদছিলেন এক প্রবীণ নারী। বিস্মিত হয়ে এগিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী। তখনও অবশ্য বিস্ময়ের কিছু বাকি ছিল। জানা যায়, তার ছেলে সমীর দাস ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক। থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে।

প্রবীণ এই নারীর বক্তব্য, রাতে তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন ছেলে সমীর। বৃদ্ধ বাবা-মাকে মারধর, বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক হলেও এখন আর অভিনব কিছু নয়। কিন্তু শুক্রবার রাতের ঘটনাটি এই চলমান হেনস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

যদিও এই ধরনের আর পাঁচটা ঘটনার মতো এক্ষেত্রেও ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিবদ্ধ করতে চাননি মা। বরং প্রবল অভিমানে শনিবার সকালে ছেলের ফ্ল্যাট ছেড়েছেন তিনি। তার আগে শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউসে তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন সহ-উপাচার্য প্রদীপ ঘোষ। শনিবার দুপুরে হোস্টেলের আবাসিক ছাত্ররাই ওই প্রবীণ নারীকে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরিয়ে দেন। নবদ্বীপে তার দাদার বাড়িতে যাচ্ছেন বলে জানিয়ে দেন তিনি।

সমীর দাসের বাড়িতে কিছুদিন আগে আসেন তার মা। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন চত্বরে বসে এক বৃদ্ধা কান্নাকাটি করতে দেখে কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে যান। সেই দলে ছিলেন উইমেন্স স্টাডিজের গবেষক বিশ্বরূপ প্রামাণিক।

তার বক্তব্য, ‘বৃদ্ধা জানান, ছেলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। আমরা তা শুনেই কোয়ার্টারে গিয়ে সমীরকে ডাকাডাকি করি। কিন্তু তিনি সাড়াশব্দ দেননি, ঘরও খোলেননি।’

পরে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে সে রাতের মতো প্রবীণ এই নারীর থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত হয়। শনিবার সকাল থেকে বেশ কয়েকবার মায়ের মোবাইলে ফোন করার চেষ্টা করেন সমীর। প্রবীণ এই মাকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে দিয়েছেন যে শিক্ষার্থীরা তাদেরই একজন নুর আমিনের কথায়, ‘একবার ফোন ধরে তিনি ছেলেকে আর যোগাযোগ করতে বারণ করে দেন।’

ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য সমীরকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। এসএমএসে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। সহ-উপাচার্য প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘খুবই বিরক্তিকর ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে আমরা এ ব্যাপারে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।’

Bootstrap Image Preview