ইরাকে হাজার হাজার কোটি ডলার অর্থ খরচ করার পরও নিজের জন্য নিরাপদ একটি পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প। এজন্যই তিনি রাতের অন্ধকারে গোপনে ‘চোরের মতো’ ইরাক সফর করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি।
ট্রাম্প পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-আনবার প্রদেশের ‘আইন-আল আসাদ’ বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। ইরাকের ভূমিতে তিন ঘণ্টা অবস্থান করার পর দেশটির কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎটুকুও না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরাক ত্যাগ করেন।
ইরাকের প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়ার এক সপ্তাহ পর ইরাক সফর করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ১৯ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিরিয়া থেকে তার দেশের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ জারি করেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্রাম্পের অঘোষিত ইরাক সফরের প্রতিক্রিয়ায় আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো কখনোই কোনো বহিঃশক্তিকে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে দেবে না। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের জনগণই ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত থেকে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস)কে নির্মূল করেছে।