Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্রীলংকার ইতিহাসে রাজনৈতিক কলঙ্কের বছর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:০১ PM
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:০১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বিদায় নিচ্ছে ২০১৮ সাল। বছরটি দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে রাজনৈতিক নানা ঘটন-অঘটনের জন্য।

বছরের শেষ দিকে এসে শ্রীলংকার রাজনৈতিক সংকট নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। শ্রীলংকার ইতিহাসে এটি ছিল একটি রাজনৈতিক কলঙ্কের বছর।

প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের নজিরবিহীন ক্ষমতার দ্বন্দ্ব প্রতিবেশী ভারত, চীন ও পাকিস্তাসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠে।

৫০ দিনে ক্ষমতার রদবদল, দুই প্রধানমন্ত্রী, দুই বিরোধী দলকাণ্ডে আলোচিত ছিল দেশটি। প্রকৃতপক্ষে বছরটি ভারত মহাসাগরীয় এ দ্বীপ রাষ্ট্রটির জন্য ‘লঙ্কাকাণ্ডের’ বছর।

বিভিন্ন ইস্যুতে নীতিগত মতপার্থক্যের জেরে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত এবং তৎক্ষণাৎ সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের নাটকীয় পদক্ষেপ নেন সিরিসেনা।

একই ভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ঘোষণা করেন আগাম নির্বাচন। ফলে সৃষ্টি হয় সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা। প্রেসিডেন্টের বরখাস্তের আদেশকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসবভন দখলে রাখেন বিক্রমাসিংহে।

কার্যত ‘দুই প্রধানমন্ত্রী’কে নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে দেশটির জনগণ। ওদিকে স্পিকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজাপাকসে স্বীকৃতি না দেয়ায় সাংবিধানিকভাবেই ‘কার্যকর সরকারশূন্য হয়ে পড়ে’ শ্রীলংকা।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর পরই পার্লামেন্টে নিজেদের ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়ান্সকে (ইউপিএফএ) সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রমাণে মরিয়া হয়ে ওঠেন রাজাপাকসে ও সিরিসেনা। এমপিদের কাছে টাকার বান্ডেল নিয়েও হাজির হন।

কিন্তু সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হন। এর মধ্যে পার্লামেন্টে তিন-তিনবার রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করেন বিক্রমাসিংহের ইউনাইটেড ন্যাশনাল অ্যালায়ান্স (ইউএনএ)। কিন্তু একবারও এর ফলাফল মেনে নেননি সিরিসেনা।

বরং তার সামনেই পার্লামেন্টে লঙ্কাকাণ্ড বাধায় ইউপিএফএ জোটের আইনপ্রণেতারা। তার উপস্থিতিতেই স্পিকারের চেয়ারে বসেন তারই দলের এমপিরা।

বিরোধী এমপিদের ওপর ছুড়ে মারেন মরিচের গুঁড়াগোলা পানি। এসব ঘটনা শুধু শ্রীলংকা নয় বিশ্বের ইতিহাসেও নজিরবিহীন। ক্ষমতা ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন দখলে রাখেন বিক্রমাসিংহে।

রাজপথে লড়াই চালিয়ে যান তিনি ও তার দল। সুপ্রিমকোর্টও সিরিসেনার সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রায় দেন। নানামুখী চাপে বাধ্য হয়ে ১৬ ডিসেম্বর ফের বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী ফিরিয়ে আনেন সিরিসেনা।

Bootstrap Image Preview