ইরাক এখনও আইএস জঙ্গিমুক্ত না হওয়ায় দেশটিতে মার্কিন সেনারা কাজ করবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল বুধবার আকস্মিক সফরে ইরাকে গিয়ে একথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই তার প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফর।
আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, বড়দিনের পর বিশেষ সফরে ইরাকে যান ট্রাম্প। এ সময় সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। তারা বাগদাদের পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-আসাদ নৌ ঘাঁটিতে ট্রাম্প মার্কিন সেনাদের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে সংক্ষিপ্ত ভাষণে সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসাও করে ট্রাম্প।
ইরাকে বর্তমানে ৫ হাজারের মতো মার্কিন সেনা আছে। দেশটিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে সরকারকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে তারা।
অবশ্য এর কয়েকদিন আগেই সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তার এই ঘোষণার সঙ্গে একমত হতে পারেননি দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস। ফলে তিনি পদত্যাগেরও ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণা দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ইরাক সফরে গেলেন ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্প ইরাকে গেলেও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেন আবদুল মাহাদির সঙ্গে নির্ধারিত মিটিং বাতিল হয়েছে। কীভাবে মিটিং হবে সে সম্পর্কিত বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত এটি বাতিল করা হয়। তবে দুজনের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ট্রাম্পের এই সফর তিন ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। সেখান থেকে ফেরার সময় তিনি জার্মানিতে অবস্থিত মার্কিন সেনাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।