Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যৌনতায় আকর্ষণ কমছে দম্পতিদের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:০৮ AM
আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:০৮ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


সুস্থ ও স্বাভাবিক বিবাহিত সম্পর্কের বুনিয়াদ মন ও শরীর। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ যৌনতা কেবল সম্পর্কের ভিতকে মজবুত করে এমনই নয়, মানসিক অবসাদ দূর করা ও জীবনীশক্তি বাড়ানোসহ নানা ইতিবাচক দিক রয়েছে। তবে যৌন জীবনে নিরাসক্তি ও বিছানায় অনীহা বিশ্বের প্রায় সব দেশের দম্পতিদের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে। আর তার মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে স্মার্টফোন!

সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্য ওঠে এসেছে। মূল সমীক্ষাটি যুক্তরাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে হলেও এ সমীক্ষার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন বিভিন্ন দেশের মনস্তত্ত্ববিদরাও।

গবেষণায় বলা হয়, লিভ ইন হোক বা বিবাহিত সম্পর্ক -সব ক্ষেত্রেই যৌন জীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বেডরুমে স্মার্টফোনের হাতছানি। সদ্য বিবাহিতরাও বাদ নন -এ তালিকা থেকে। ফলে ‘কোয়ালিটি টাইম’-এর হাহাকার বাড়ছে। তৈরি হচ্ছে নানা সামাজিক ও সাংসারিক জটিলতা।

যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় ২ হাজার দম্পতির ওপর সমীক্ষা চালালো হয়েছে। তাদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই একান্ত নিজস্ব সময়ও রতিক্রীড়ার চেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন মোবাইল ফোনে। শুধু তা’ই নয়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষ অধিকাংশের দাবি, ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাদের প্রেমিক বা জীবনসঙ্গীর মুখ নয়, মোবাইল দেখেই চোখ বোজেন তারা। এমনকি, তাদের কারও কারও একই বাড়িতে থেকেও পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে ওঠছে স্মার্টফোন।

সমীক্ষায় অংশ নেয়া প্রায় ৫৫ শতাংশের মত, কেবল যৌন জীবনই নয়, অত্যধিক ফোন ব্যবহারের কারণেই নিজেদের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কও ব্যাহত হচ্ছে। ৩৫ শতাংশ জানান, মোবাইল আসক্তির কারণে তাদের মধ্যে বহু দিন ধরেই বিশেষ কোনো শারীরিক সম্পর্ক নেই।

তবে এ চিত্র কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, প্রযুক্তির শিখরে থাকা দেশগুলোতেও এর প্রবণতা দিনে দিনে বাড়ছে। ভারেতের মনোবিদ জয়রঞ্জন রামের মতে, ‘কেবল মার্কিন দেশে নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় নানা দেশেই এ ধরনের সমীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে এবং তাতে এমনই সব ফলাফল বেরিয়ে এসেছে, যা সমাজ ও সংসার জীবন দু’ক্ষেত্রেই বেশ বিপদের। মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকা ভবিষ্যতে সমাজকে আরও বড় বিপদের দিকে নিয়ে যাবে।’

মনস্তত্ত্ববিদ ঈশাণী শর্মার মতে, ‘আজকাল মানুষ নিজেকে নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছে যে সেখানে সামাজিক বন্ধন, দায়-দায়িত্ব এমনকি সন্তানের দায়ভারও ফিকে হয়ে আসছে। নিজের জগৎ, নিজস্ব ব্যস্ততা ও জীবনের দ্রুততার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে বাড়ছে অবসাদ। আর তা থেকে চটজলদি মুক্তি খুঁজতে মানুষ আঁকড়ে ধরছে নানা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মকে। তার ফলেই যৌনতার মতো আবশ্যিক চাহিদাতেও কোপ পড়ছে।’

Bootstrap Image Preview