ইরান, চীন, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, সুদান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, মিয়ানমার, কমোরোস, ইরিত্রিয়া ও সৌদি আরবে পদ্ধতিগতভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তাই ইরান, চীন ও রাশিয়াসহ ১২ দেশকে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে পম্পেও দাবি করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার সুযোগ উন্মোচন করা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় আরো কিছু দেশের সঙ্গে ইরানকেও ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করলেন যখন ইরানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মুসলমানদের মতো সমান ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার ভোগ করছেন। সেইসঙ্গে ইরানের পার্লামেন্টে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে ভুল পদ্ধতি অনুসরণ, দ্বৈত নীতি গ্রহণ, নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন ও ক্ষেত্রবিশেষ অতিরঞ্জন, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি উপেক্ষা ইত্যাদি কারণে আমেরিকা ভুলে ভরা প্রতিবেদন তৈরি করে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।