শুধু আইন করে নারী নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টক্ষেত্রের বিজ্ঞজনরা। তারা বলেছেন, আইনের শাস্তির পাশাপাশি সচেতনতা, ধর্মীয়ও অনুশাসন, পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবাধ বৃদ্ধি পারবে নারী নির্যাতন বন্ধ করতে। একই সঙ্গে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
মঙ্গলবার সিরডাপ মিলনায়তনে আস্থা:স্ট্রেনদিং মাল্টি-সেক্টরাল পাবলিক সর্ভিসেস ফর জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স(জিডিভি) সারভাইভারস ইন বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে আস্থা প্রকল্পের শুভ উদ্বোধনকালে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংস্থাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন ও শালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইইএনফিপিএর বাংলাদেশ উপপ্রতিনিধি ড. ইকো নারিতা, নেদারল্যান্ড অ্যাম্বাসির রাষ্ট্রদূত হেরি ভারওইজ, বিচারক জেসমিন আরা বেগম, মো. জাফরুল হাসান প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, পরিবার থেকে নারীর প্রতি অসম্মান শুরু হয়, নারী নির্যাতন শুরু হয়। পারিবারিক সহিংসতার প্রকার ও আকার দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিকট আত্মীয় ধর্ষণ করছে নারীকে। ঘরে-বাইরে কর্মক্ষেত্রে নারী নির্যাতনের চিত্র প্রতিনিয়তই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। নারীকে হত্যা করা হয়, আবার নির্যাতন অপমান না সইতে পেরে নারী নিজে আত্মহত্যা করছে। ধর্ষণের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে।
আয়োজকরা জানান, আস্থা:স্ট্রেনদিং মাল্টি-সেক্টরাল পাবলিক সর্ভিসেস ফর জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স (জিডিভি) সারভাইভারস ইন বাংলাদেশ প্রকল্প নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার প্রতিরোধে ২০১৭ সাল থেকে কাজ করছে।