বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সাংবাদিক সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও দৈনিক কালের কন্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবুল বাশার মিরাজের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (যবিপ্রবিসাস)। একই সাথে হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হয়।
গতকাল শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) যবিপ্রবিসাসের সভাপতি রাসেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মোসাব্বির হোসাইন এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে যা ক্যাম্পাসে মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থী। আর এ হামলার ঘটনা সরকারের ছাত্র সংগঠনের উপরই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ইতিপূর্বে গত ১ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি আলী ইউনুস হৃদয়ের উপর হামলা চালায় রাবি ছাত্রলীগ এবং ১৬ নভেম্বর সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ও এক ছাত্রীকে উত্তক্ত করার প্রতিবাদ করায় দৈনিক যুগান্তরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাব্বি হাসান সবুজের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সাংবাদিকদের উপর এমন নেক্কারজনক ভাবে হামলা করা হলেও কোন সুষ্ঠু বিচার করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিচারের নামে লোক দেখানো তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচার হীনতার প্রবণতার দিকে ধাবিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যা পরবর্তীতে সুষ্ঠু ও মুক্ত সাংবাদিকতার পথকে রুদ্ধ করবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে গেস্টরুম চলাকালে ২য় বর্ষের এক ছাত্রলীগ কর্মী প্রথম বর্ষের এক কর্মীকে থাপ্পড় মারে। এতে প্রথম বর্ষের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন বুধবার গেস্টরুমে যেতে আপত্তি জানায়। ১ম বর্ষের কর্মীদের সাথে হলের ২য় বর্ষের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ওই হলের হল শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা ১ম বর্ষের কর্মীদের গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তারা দুই বর্ষের কর্মীদের মাঝে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। এরপর সিনিয়র নেতারা গেষ্টরুম থেকে চলে গেলে আবারও ওই দুই বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে। একপর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ সময় কালের কন্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল বাশার খবর সংগ্রহ করতে গেলে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে প্রায় ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী মিলে তাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই হলের ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা আবুল বাশারকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।