Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাস্তবতার মুখোমুখি স্টামফোর্ড সিভিল ৫৭ ব্যাচ

মামুনুর রশিদ রাজিব, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৩২ AM
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৩২ AM

bdmorning Image Preview


‘যেতে নাহি দিব, হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়’।হা আজ চলে যেতে হবে ভালবাসার বন্ধন ছিন্ন করে।চলে যেতে হবে বাস্তবতার স্রোতে গা ভাসিয়ে, হারিয়ে যেতে হবে ব্যস্ততার মহাসাগরে।এই নির্মতার স্রোত একদিন আপনাকেও ভাসিয়ে নিয়ে যাবে কিংবা অনেক আগেই ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।কিন্তু এখন যাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারা হচ্ছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

গত ২৪ এবং ২৫ নভেম্বর, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হল দুইদিন ব্যাপী একবর্নাট্য র‍্যাগ-ডে।যার প্রথম দিনে ছিল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের একে অপরকে রঙ মেখে নেচে গেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ স্মৃতিতাকে কিছুটা ভিন্ন ভাবে রাঙ্গিয়ে তোলা এবং সকলের পরিহিত সাদা শার্টে বন্ধু-বান্ধবদের স্মৃতিচারণমূলক বানি ফুটিয়ে তোলা রঙিন মার্কারেরকালীতে।

এছাড়া শেষদিনে ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে ছিল বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নাচ, গান, অভিনয় এবং বিখ্যাত ব্যান্ডদলের মনমুগ্ধকর পার্ফরমেন্স।

কিন্তু দিনের সব রঙ্গই নাকি মুছে যায় রাতের আধারে অর্থাৎ দিনের বর্নাট্য আয়োজনের পরপরই সন্ধায় অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে যখন অডিটোরিয়ামে বেজে ওঠে সেই কালজয়ী গান পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে আয় ওসে... তখন কেউ যেন চোখের জল ধরে রাখতে পারছিল না। এসময় তারা একে অপরকে জড়িয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্না করতে থাকে।

এদিন শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক সুব্রত চৌধুরী, রাফিদ সামস, বার্জী সই করা, তামান্না কবির এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য আব্দুল্লাহ মাসুম।

অভিভাবক হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক সুব্রত চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আজ তোমাদের কান্না করার দিন নয় বরং এগিয়ে যাবার দিন, বিশ্ব দরবারে নিজেদের প্রমান করার দিন।

তিনি বলেন, বিগত চার বছরের মত তোমরা ভবিষ্যতেও একতাবদ্ধ থেকে নিজের সেরাটা দিয়ে কাজ করে যাবে দেশ তথা মানবজাতির কল্যাণে সেটাই কামনা করছি’।

এছাড়া, বিভাগের বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম, তপুরায়হান, শাওন, নিহাল, ইমরান এবং ইসরাত জাহান ইকা আবেগ জড়ানো কন্ঠে বলেন, আমরা আজ এমন এক অবস্থায় এসে পৌছেছি, না পারছি সবাইকে ছেড়ে জেতে না পারছি সবাইকে বেধে রাখতে। আসলে , সিভিল ৫৭ একগুচ্ছ ভালবাসার নাম, যাদের কেউ কাউকে ভুলতে পারবে না।

আয়োজনটি শেষ হয় ক্যাম্পাসের গার্ডেনে ফানুশ ওড়ানোর মধ্য দিয়ে।

Bootstrap Image Preview