Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দীর্ঘ সাত বছর ধরে চলছে জবির হলের কাজ

নিজাম উদ্দিন শামীম, জবি প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৫৪ PM
আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


শতভাগ অনাবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলের কাজ অর্ধ যুগ পেরিয়ে গেছে। কয়েক দফা কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে নিলেও পুরোপুরি কাজ শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আর এই বিলম্বকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী করছে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উদাসীনতাকে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হল প্রাণের দাবি। বিভিন্ন আন্দোলনের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র আবাসিক হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রকল্পের প্রথম মেয়াদের কাজ শুরু হয় ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত, দ্বিতীয় মেয়াদ ২০১৩ জুন থেকে ২০১৬ জুন এবং সর্বশেষ ২০১৬ জুন থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত তৃতীয়বারের মতো মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এখন ১৮ সালের জুন পেরিয়ে গেলেও নির্দিষ্ট সময়ে হল বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দিতে পারেনি নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান।

সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের যে কোনো কাজের মেয়াদ দুবারের বেশি বাড়ানো হয় না। কিন্তু বিশেষ বিবেচনায় তিনবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলটির। শেষ মেয়াদে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা চলতি বছরের জুনের ৩০ তারিখে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবারও সময় মতো কাজ শেষ করতে পারেনি। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বহীনতাকে। আর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে স্থানীয় সমস্যার কথা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢিলেঢালাভাবে চলছে হলটির নির্মাণকাজ। ১৫ তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই দিলেও এখনও অনেক কাজ বাকি। নির্মাণাধীন ভবনটি ১৬ তলা হওয়ার কথা রয়েছে। এতে ১১১টি কক্ষ, একটি লাইব্রেরি, একটি ক্যান্টিন, একটি ডাইনিং, প্রতি তলায় সাতটি করে টয়লেট, আটটি গোসলখানা, ছাত্রীদের ওঠা নামার জন্য চারটা লিফট লাগানো হবে।
এগুলোর আংশিক কাজ হলেও বেশির ভাগ কাজই এখনও করা হয়নি। দরজা, জানালা, পানির পাইপ কিছুই লাগানো হয়নি। এছাড়া লিফট, গ্যাস লাইন ও পানির জন্য দরপত্র ও করা হয়নি। কাজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরোপুরি হল বুঝিয়ে দিতে আরও ১০ থেকে ১২ মাস লাগবে বলে জানান নির্মাণাধীন এক শ্রমিক।

প্রকল্পের দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হল নির্মাণে দায়িত্বরত প্রকল্প ব্যবস্থাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রকল্পটি ২০১১ সালে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৪ সালে আমাদের হাতে বুঝিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ভবনের কাজ করার জন্য আশপাশে যে পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন সেই পরিমাণ পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই একপাশ থেকেই কাজ চালাতে হয়েছে। এক সঙ্গে মালামাল রাখতে না পারা এবং বিভিন্ন সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগকে তিনি দায়ী করেন। তিনি আশা করেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এর কাজ পুরোপুরি শেষ হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, হলের বিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই এ বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীই ভালো বলতে পারেন। আমরা বিভিন্ন সময় তাদের চাপ প্রয়োগ করেছি কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য। তবে আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
 

Bootstrap Image Preview