ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কানাডীয় দূতাবাসের সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ও কাউন্সিলর কোরিন পেট্রিসর। সম্প্রতি ইডিইউর স্থায়ী ক্যাপাস পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, উন্নত বিশে^র বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি কোন অংশে কম নয়। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, ইস্ট ডেল্টা তাদের মধ্যে অন্যতম। অদূর ভবিষ্যতে ইডিইউ শিক্ষাক্ষেত্রে উচ্চতার শিখরে পৌঁছাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কোরিন বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে কানাডা সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। উন্নত শিক্ষার জন্য জ্ঞানের বিনিময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফ্যাকাল্টিদের নিয়ে সেমিনার আয়োজন করতে পারে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি। ইডিইউর শিক্ষকরা গবেষণার জন্য কানাডা যেতে পারে। এছাড়া শিক্ষার্থী বিনিময়ও শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে ইডিইউর যোগাযোগ ঘটাতে সেতু হিসেবে কাজ করবে হাই কমিশন।
ইডিইউর স্থায়ী ক্যাম্পাস দেখে কোরিন বলেন, আধুনিক স্থাপত্যের নিদর্শন এই ক্যাম্পাসটি সত্যিই মনোমুগ্ধকর। এখানে এলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে। ক্যাম্পাসটি এতোটাই পরিকল্পিত যে, দেখলেই বুঝা যায় ইডিইউ তাদের শিক্ষার্থীদের প্রতি কতোটা আন্তরিক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কানাডীয় দূতাবাসের ট্রেড কমিশনার কাজী গোলাম ফরহাদ, ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান, ইডিইউর ট্রেজারার অধ্যাপক সামস-উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়–য়া, প্ল্যানিং এন্ড ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টার শাফায়েত কবির চৌধুরী, কোয়ালিটি অ্যাশিওরেন্স এন্ড এক্সটার্নাল রিলেশনস ডিরেক্টার মাহমুদুর রহমান, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির প্রমুখ।
কাজী গোলাম ফরহাদ বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন করতে জানে। ইডিইউ তাদের যেকোন সহযোগিতার জন্য কানাডিয়ান হাই কমিশনকে পাশে পাবে।
সাঈদ আল নোমান বলেন, উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা বিশ্ব শ্রেষ্ঠ দেশগুলোর একটি। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যোগাযোগ আমাদেরকে অনেক সমৃদ্ধ করবে। কানাডার হাইকমিশনকে পাশে পাওয়া তাই আমাদের জন্য খুবই আনন্দের।