লেবাননের একটি জাহাজ ধ্বংস করে ২৫ জন শরণার্থী ও বিদেশি কর্মীকে হত্যার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে ইসরায়েল। খবর পার্স টুডের।
ইসরাইলের টিভি চ্যানেল 'টেন' জানিয়েছে, ১৯৮২ সালে লেবাননের উত্তরের ত্রিপোলির বন্দর থেকে বেশ কয়েকজন শরণার্থী ও বিদেশি কর্মীকে নিয়ে একটি জাহাজ সাইপ্রাসের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। ইসরায়েলের একটি সাবমেরিন জাহাজটিকে অনুসরণ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে জাহাজটি লক্ষ্য করে টর্পেডো ছোড়া হয়। টর্পেডোর আঘাতে ২৫ জন আরোহী প্রাণ হারায়।
সেসময় লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের স্বল্প মেয়াদে যুদ্ধবিরতি চলছিল। যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতেই ওইসব শরণার্থী ও বিদেশি কর্মী সাইপ্রাসে আশ্রয় নেওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
বলা হচ্ছে, সাবমেরিনের ক্যাপ্টেন ভুল করে জাহাজটিতে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন জাহাজটিতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা রয়েছেন।
দখলদার ইসরায়েল ১৯৮২, ২০০০ ও ২০০৬ সালে লেবাননে সর্বাত্মক হামলা চালায়। ১৯৮০'র দশকের ইসরায়েলি হামলা ও আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে লেবাননে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই হিজবুল্লাহ এখন ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।