ড্রেনের মধ্যে পঁচা ভাত, ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। নোংরা পানির মধ্যে বিভিন্ন ধরণের পোকা। আর পাশেই ঘন ঝোপঝাড়। সন্ধ্যা নামতেই চারদিক থেকে মশার উৎপাত শুরু হয়। চিত্রটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলের।
শুধু এই হল নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি আবাসিক হল এবং ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানে সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় মশার উৎপাত। অপরিচ্ছন্ন ড্রেন এবং অতিরিক্ত ঝোপঝাড়ের কারণে মশার উপদ্রব প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ঔষধ ছিটানো হলেও ক্যাম্পাসে দেয়া হয়না। মশার উৎপাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মাঝামাঝি পাহাড়ি জঙ্গল। বিভিন্ন স্থানে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হলেও ছাত্রদের হলগুলোর আশেপাশে অনেক জায়গা জুড়েই ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়নি। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল পাহাড়ের উপরে হওয়ায় মশা কিছুটা কম। হলের ড্রেনগুলোও ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
কিছুদিন আগে ক্যাম্পাস আশেপাশের এলাকাগুলোতে সিটি কর্পোরেশন মশার ঔষধ ছিটিয়েছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে দেয়নি। এদিকে মশার অত্যাচার থেকে বাঁচতে অনেক শিক্ষার্থীই কয়েল ব্যাবহার করেন যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাহমুদুল হাসান খান বলেন, অতিরিক্ত বন-জঙ্গল, অপরিচ্ছন্ন ড্রেন, জমে থাকা পানির কারণে মশার বংশবিস্তার ঘটে। মশার কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ বেশ কিছু রোগ ছড়ায়। এসব রোগ থেকে বাঁচতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা প্রয়োজন। আর কয়েল ব্যাবহারে মানুষের শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়ে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, মশার অত্যাচারে পড়ালেখায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যার পর মশার কামড়ে বসা দায়। অনেকে মশারীর ভিতরে ঢুকে পড়াশোনা করছেন।
অপরিচ্ছন্ন ড্রেনের বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ড্রেনের পানি যাওয়ার ব্যবস্থা নাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করবো। পানি যাওয়ার জন্য যেন আলাদা ব্যাবস্থা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মশার ঔষধ দেয়া যায় কি না এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলে আমরা শিগগিরই মশা নিধনের ব্যবস্থা করবো।