Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বুধবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কোম্পানীগঞ্জে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

নুর উদ্দিন মুরাদ, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১১:২৭ AM
আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১১:২৭ AM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রোপা আমন ধানের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার কৃষকরা আগের সব লোকসান কাটিয়ে লাভের আশা করছেন। তাইতো কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক।

উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম মানিক ১৮ একর জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন। ফসলও বেশ ভালো হয়েছে। তাইতো হাসি মুখেই বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে ধান আবাদ করে চরম লোকসান হচ্ছিল। এবার আবহাওয়াও অনুকূলে রয়েছে।ফলন ও ভালো হয়েছে। ভালো হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা, কৃষি অফিসারদের আন্তরিকতা, এবার রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈবসার প্রাধান্য দিয়েছি আমরা যার কারণে ফলন ভালো হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, আরও কয়েকদিন সময় লাগবে ধান কাটতে। এরপর শুরু হবে ধান মাড়াইয়ের কাজ। মানিকের মতো জেলায় অনেক কৃষক এবার চলতি মৌসুমে লাভের আশা করছেন।

উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের কৃষক খোকন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বীজ তলা থেকে শুরু করে ধান কাটা পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। এবার আশা করছি ধানের ফলন পাওয়া যাবে বিঘা প্রতি প্রায় ১২ মণ পর্যন্ত। নতুন ধানের গন্ধে ভরে উঠবে মন। ধান বিক্রি করে ছেলে মেয়ের নতুন জামা,জুতা, বই,খাতা, কলমসহ নবান্যের উৎসবে মেতে উঠবে আমাদের গ্রামের কৃষক।

উপজেলার চরকাঁকড়া, চর এলাহী, চর ফকিরা, সিরাজপুর, মুছাপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে ধান কাটার এমন চিত্র। শ্রমিকরা ধানের বোঝা নিয়ে দলে-দলে ফিরছেন জমির মালিকের বাড়ির বাড়িতে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণে অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে জেলায়। কৃষকরা এবার লাভেরও মুখ দেখবেন এমনটাই আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তরা।

কৃষি কর্মকর্তা পুষ্পেন্দু বড়ুয়া বলেন, গত দুই-তিন বছরের তুলনায় এবারে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প বিশেষ করে (১) চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষন ও বিতরণ প্রকল্প, (২) এনএটিপি প্রকল্প,(৩) খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প (৪) পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এবং রাজস্ব খাত হতে বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন নতুন ধানের জাত এই মৌসুমে অত্র উপজেলায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ব্রি ধান-৭২ ও বিএডিসির নতুন হাইব্রিড win-207 খুব ভাল ফলন দিয়েছে।

তাছাড়া এইসব প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৫০০ কৃষক ও কৃষানীকে ধানের উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের ধানের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের সঠিক পরিকল্পনা প্রনয়ন এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে  কৃষি ক্ষেত্রে আজ এই সফলতা। আগামী বোরো মৌসুমে পানির উৎসের প্রতি খেয়াল রেখে বোরো ধান চাষের পরামর্শ প্রদান করা হলো। কারণ পর্যাপ্ত পানি না থাকলে বোরো ধান চাষ করা ঠিক হবে না।  

এসময় তিনি আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে ধান কাটার জন্য রিপার মেশিন এবং ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য কম্ববাইন্ড হারবেস্টার মেশিন দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এতে সময় কম লাগবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবেন কৃষকরা।

Bootstrap Image Preview