ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা হয়েছে ৫৯ হাজার কোটি রুপিতে। মাধ্যম হিসেবে কাজ করায় এর মধ্যে অনিল আম্বানির পকেটে ঢুকেছে প্রায় সাড়ে ২৯ হাজার কোটি রুপি। বিমানগুলো রক্ষণাবেক্ষণে ৫০ বছর ধরে আরও ১ লাখ ৫ হাজার কোটি রুপি পাবে আম্বানির কোম্পানি।
রাফালের দাম ও বরাতের হিসাব জানিয়েছে অনিল আম্বানিরই সংস্থা। একটি বেসরকারি ব্যাংকের নোটে সরকারের ‘জাতীয় গোপন বিষয়’ রাফালের দাম এখন প্রকাশ্য নথি।
শুক্রবার তা পড়ে শোনায় কংগ্রেস। দলটির দাবি, সোনিয়া গান্ধীর আমলে প্রতিটি রাফালের দাম ছিল ৫২৬ কোটি রুপি। মোদির জমানায় তা বেড়ে হয়েছে ১৬৭০ কোটি রুপি। খবর পিটিআইয়ের।
এদিন এক টুইট বার্তায় মোদির ওপর তোপ দেগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, ‘রাফাল যুদ্ধবিমানের দাম তিন গুণ বাড়িয়েছে মোদি সরকার। ফরাসি সরকারের কাছ থেকে ‘সার্বভৌম নিশ্চয়তা’ এবং ‘ব্যাংক গ্যারান্টি’ নেননি। প্রতিরক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয় এবং বিমানবাহিনীর আপত্তি উড়িয়েই তিনি এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
রাফালের দাম জানাচ্ছে না নরেন্দ্র মোদির সরকার। বিরোধীরা জানতে চাইলে তাদের ‘দেশবিরোধী’ তকমা দিচ্ছে বিজেপি। কারণ, দাম জানলেই নাকি চীন-পাকিস্তান তার ফায়দা তুলবে। সুপ্রিমকোর্টকেও তাই দাম জানানো হয়েছে গোপন খামে।
কংগ্রেস নেতা পবন খেরার প্রশ্ন, দাম তো এখন অনিল আম্বানি নিজেই জানিয়েছেন। তাহলে মন্ত্রগুপ্তি লঙ্ঘনের জন্য তার বিরুদ্ধে কি এফআইআর করবেন মোদি? কংগ্রেসের অভিযোগ, ইউপিএ যুগে প্রতিটি রাফালের দাম ছিল ৫২৬ কোটি রুপি।
মোদির জমানায় তা বেড়ে হয় ১৬৭০ কোটি টাকা। বেসরকারি আইসিআইসিআই ব্যাংকের শাখা আইসিআইসিআই ডিরেক্টর ‘ম্যানেজেমেন্ট মিট নোটে’ যে অঙ্ক দেখা যাচ্ছে, সেই হিসাবেও প্রতিটি রাফালের দাম তার কাছাকাছি।
রাফাল নিয়ে অভিযোগ তুলে রাহুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতের নন, অনিল আম্বানির চৌকিদার। আমাদের দেশে আমরা দুটি পতাকা চাই না। একটি ধনীদের, অপরটি গরিব, কৃষক ও সাধারণ জনগণের। আমরা দুটি পতাকা চাই না। আমরা দুটি ভারত চাই না। আমরা এক দেশ চাই। চাই ন্যায়বিচার।’