Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বরেন্দ্র অঞ্চলে হচ্ছে মাল্টা চাষ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:৩৩ PM
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


সিয়াম সাহারিয়া, পত্নীতলা (নওগাঁ)প্রতিনিধি:

নওগাঁর ঠাঁ-ঠাঁ বরেন্দ্র অঞ্চল পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কৃষকরা এখন মাল্টা চাষে ঝুঁকে পরেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে নওগাঁয় গত দুই বছরে প্রায় একশ' বিঘা জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে উঠেছে। মাল্টা চাষে লাভ হলে আগামিতে ঠাঁ-ঠাঁ বরেন্দ্র ভূমিতে মাল্টা চাষের বিপ্লব হবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বদলগাছী হর্টিকালচার সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য ফসলের চেয়ে কম চাহিদা সম্পন্ন মাল্টা চাষে বিপ্লব ঘটানো ও বিদেশ থেকে আমদানির চাপ কমাতে হর্টিকালচারে ২০১৫ সাল থেকে বারি-১ জাতের মাল্টার গাছ তৈরী শুরু হয়। হর্টিকালচারে সহযোগিতায় জেলায় গত তিন বছরে ১০০টি মাল্টার প্রদর্শণীয় প্লট তৈরী করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র বলছে, পানির স্তর নীচে হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ধানের আবাদ ছাড়া তেমন কোন ফসল চাষ হয় না বরেন্দ্র ভূমি পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর, বদলগাছী উপজেলায়। বছরের অধিকাংশ সময় পতিত থাকা জমিতে কৃষকরা গড়ে তোলেন আম বাগান। আমে অনেক সময় লোকসান হওয়ায় আমের পরিবর্তে অন্যান্যে ফসল চাষের চিন্তা শুরু করেছেন কৃষকরা।

মাল্টা চাষী সাপাহার উপজেলার সোহেল রানা। তার বাগান পত্নীতলা উপজেলার রুপগ্রামে তার বাগানে বদলগাছী হর্টিকালচার থেকে দুই বছর আগে ২০টি মাল্টা পান। এরপর সিলেট থেকে আরো ৬০টি মাল্টা এনে রোপণ করেন। গাছগুলোর মধ্যে ৪২টি গাছে ৩০ থেকে ৪৫টা পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন সময় পরামর্শ দেয়াসহ তার সঠিক পরিচর্যায় গাছগুলো বেশ ভালো হয়েছে।

পত্নীতলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র জানান, সোহেল রানাকে সবসময় সহযোগিতা করা হচ্ছে। সোহেল রানার মতো অনেক যুবক মাল্টা চাষে পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছেন। গত দেড় বছরের মধ্যে উপজেলায় প্রায় ২৫টি মাল্টার প্রদর্শনীয় প্লট গড়ে তোলা হয়েছে।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক জানান, পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর, মহাদেবপুর, বদলগাছী, ধামইরহাট ঠাঠা বরেন্দ্র ভূমি হিসেবে পরিচিত। এই উপজেলাগুলোর মধ্যে পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুরের অধিকাংশ জমিতে আমন ধান ছাড়া অন্য কোন ফসল উৎপাদন হয় না। এ কারণে আম বাগান গড়ে তুলছেন।

কম পানি চাহিদা সম্পন্ন মাল্টা চাষে বর্তমানে জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে বিশেষ করে পোরশা, সাপাহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। ইত্যে মধ্যে জেলায় একশ বিঘার উপর জমিতে মাল্টা চাষ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Bootstrap Image Preview