মায়ের পাশে বসে সবজি বিক্রি দিয়ে যাঁর রোজগার শুরু, মাত্র সাত বছরের মধ্যে তিনিই খুলে বসেছেন বছরে ১০০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা দেওয়া বিশাল ব্যবসা। একাধারে ১৭টি সংস্থার কর্ণধার। দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের একাধিক রাজ্যে বিছিয়ে রয়েছে তাঁর সাম্রাজ্য, যেখানে রাতারাতি বিত্তবান হওয়ার লোভে বিনিয়োগ করেছেন ২ লক্ষের বেশি লগ্নিকারী।
সম্প্রতি ৫০০ কোটি টাকা প্রতারণা মামলায় নারী ব্যবসায়ী নওহেরা শেখ(৪৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। হায়দরাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নওহেরা শেখ জীবনে চলার পথে একে একে সংগ্রহ করেছেন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি, চালু করেছেন মেয়েদের জন্য মাদ্রাসা, এমনকি কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে একটি রাজনৈতিক দলও খুলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য বিস্তারই অবশ্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে নওহেরার। ৩৬-৪২% সুদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাত বছর ধরে তাঁর এজেন্টরা মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশে চিটফান্ডের ব্যবসা হু হু করে ছড়িয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে কয়েক মাস আগে হাওয়ালা কেলেঙ্কারী নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। গত মে মাস থেকে পেমেন্ট দিতে দেরি করা শুরু করেন নওহেরা। ক্রমে তহবিল নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয় আর তার জেরে গ্রাহক বিক্ষোভের ফলে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এরপর গত ২৫ অক্টোবর ৫০০ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলায় হায়দরাবাদ থেকে নওহেরাকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশের আর্থিক অপরাধ শাখা। শানে ইলাহি নামে এক লগ্নিকারীর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তিনি মুম্বাই পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'তাঁর সংস্থায় বেশির ভাগ লগ্নিকারী মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। তাঁদের 'বিনা-সুদের হালাল ব্যবসা'র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নওহেরা শেখ।'