নিজাম উদ্দিন শামীম, জবি প্রতিনিধি:
‘শিল্প-সৃজনে আলোকিত হই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী- ২০১৮ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, এই ধরনের বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক অঙ্গণে স্বপ্নের অগ্রযাত্রায় প্রথম সোপান রোপন করেছে। স্থান সংকট থেকে শুরু করে নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই ধরনের অভূতপূর্ব বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন জাতীয় শিল্পকলার কোন আয়োজন হতে কম নয়।
তিনি আরো বলেন, চারুকলা বিভাগ এর কারিকুলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের মত এক রকম হওয়া উচিত নয়। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল হতে হবে, তাদের শিল্পে তথ্য বিশ্লেষেণধর্মী ক্ষমতা ও পরিবেশনার মাধ্যমে। শিল্পীদের শিল্পকর্মে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য থাকবে হবে। আগেকার চিত্রশিল্পীরা ছবি আকার জন্য পুরানো ঢাকার পরিবেশকে সবচেয়ে বেশি উপযোগী মনে করত। পুরানো ঢাকার শিল্পের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে আগামী বছর হতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রতি বছর ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী আয়োজনের ঘোষণা করা হয় এবং শুধুমাত্র পুরানো ঢাকার চিত্র কেন্দ্র করে শিল্পকর্ম প্রদর্শনী হবে আগামী পহেলা বৈশাখে।
চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাঃ আলপ্তগীন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিল্পী অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী, শিল্পী অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক আলভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বজুলর রশিদ খান।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ ছবি ও অন্যান্য শিল্পকর্মে বিজয়ীদের মাঝে উপাচার্য পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এসময় চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চারুকলা বিভাগ এবারই প্রথম বারের মতো বার্ষিক শিল্পকলা প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি করা ছবি ও অন্যান্য শিল্পকর্ম স্থান পায়।