Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

'সৌদিতে নিপীড়িতদের হাতিয়ার টুইটার'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:২২ PM
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:২২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


অতি জনপ্রিয় টুইটার ও ফেসবুক পরিত্যাগ করেছেন সৌদি আরবের এক খ্যাতিমান মানবাধিকার কর্মী। এই নারীর অভিযোগ, ভিন্নমতাবলম্বী ও মানবাধিকার কর্মীদের নিশ্চুপ করতে স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এইসব সোশ্যাল মিডিয়া। 

সৌদি নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন মানাল আল-শরীফ। গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই নাটকীয়ভাবে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট মুছে দেন তিনি। সেখানে তার তিন লাখের মতো ফলোয়ার ছিল। সিঙ্গুলারিটিইউ নরডিক 'গ্লোবাল ইনোভেশন' কনফারেন্সে তিনি এ কাজটি করেন। পরদিন নিজের ইউটিউব অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিন। সেখানে টুইটার বন্ধ করার কারণ জানান সবাইকে। টুইটার মূলত উশৃঙ্খল মানুষ এবং সরকারের দালাল ও পৃষ্ঠপোষকদের ভিড়ে পরিণত হয়েছে। 

সোশ্যাল মিডিয়ার নৈতিকতা নিয়ে বলতে গিয়ে আল-শরীফ জানান, আমাদের স্বাধীনতার জন্যে যে যন্ত্র ব্যবহার করছি, সেটাকে আমাদের দমন-পীড়নের জন্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে ভুয়া খবর ছড়ানো হয়। এর মাধ্যমে আমাদের ওপর ঘৃণা জন্মানোর চেষ্টা চলছে মানুষের মনে। 

অনেক বছর আগেই সৌদি আরব ছেড়েছেন আল-শরীফ। তিনি মূলত স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়েছেন। সৌদিতে গাড়ি চালানোর অধিকার আদায়ে নারীদের সংগ্রামে সহায়তা দিয়েছেন ২০১১ সাল থেকে। সেই সংগ্রামে তাদের জয় এসেছে এ বছরের জুনে। 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, ভিন্নমতের মানুষদের দমন-পীড়নের রেকর্ড রয়েছে সৌদির। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তার ধোঁয়া তুলে ১৩ জন নারী অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রসিকিউটররা অপরাধীদের শিরচ্ছেদের মাধ্যমে তাদের তাদের শাস্তি দাবি করছেন। 

সম্প্রতি ইস্তানবুল কনস্যুলেটে সৌদির বিখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে সরকার। হত্যাকাণ্ডের আগে খাশোগি একটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছিলেন। ভিন্নমতের মানুষদের দমনে সৌদি সরকার সোশ্যাল মিডিয়াকে কীভাবে ব্যবহার করছে তা উন্মোচন করাই ছিল ওই প্রজেক্টের লক্ষ্য। 

Bootstrap Image Preview