Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কৃষকের স্বপ্ন এখন আমন ধানের সোনালী শীষে 

জোবায়ের রানা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৩৬ PM
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৩৬ PM

bdmorning Image Preview


শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন মাঠে এখন আমন ধানের সোনালী শীষ দোলা দিচ্ছে। পোকামাকড় ও বিভিন্ন ধরনের রোগবালাইয়ের আক্রমণ ছাড়াই বেড়ে ওঠা সোনালী ধানের শীষে ভরে গেছে মাঠ। দিগন্ত জোড়া সোনালী ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বিকশিত করে তুলেছে।

মাঠ ভরা সোনালী ফসল দেখে কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। তাদের স্বপ্ন এখন আমন ধানের সোনালী শীষে। এরমধ্যে যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে এবার আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ধান উৎপাদনের দিক থেকে এবারও নন্দীগ্রাম উপজেলা শীর্ষ স্থানে রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ২০ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৮০০মেট্রিকটন। তবে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না এলে উৎপাদন বেশি হবে বলে জানান তারা। 

প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে গত বোর আবাদ ঠিকমত ঘরে তুলতে পারেনি এ এলাকার কৃষকরা। তাই বেশিরভাগ কৃষক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আমন ধান চাষাবাদ করেছে। যার কারণে তাদের সকল স্বপ্ন এখন আমন ধানের ক্ষেতে। তাই মাঠের সোনালী ফলন দেখে হতাশ কৃষককুল অনেকটা আশান্বিত। 

বিভিন্ন এলাকায় ধানের গাছে কিছু রোগ দেখা দিলেও সেটি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও সতকর্তার সাথে জমিতে কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগ করছে কৃষকরা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার বেলঘরিয়া মাঠ, সদর ইউনিয়নের দলগাছা গ্রামের মাঠ আমন ধানের সোনালী শীষে ভরে গেছে। সতকর্তার জন্য ধানক্ষেতে ওষুধ প্রয়োগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত আমন ধান গত বারের চেয়ে এবার ভাল হয়েছে। আর কয়েকদিন পরই ধান কাটা শুরু করা যাবে। যদি কোন প্রকৃতিক দূযোর্গ না আসে তবে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে ইনশাল্লাহ। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা.মশিদুল হক বলেন, আমন ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে আসছি। তাই আশাকরি বিগত মৌসুমের মতো এবারও আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। এতে কৃষকরা অনেকটা লাভবান হবে।
 

Bootstrap Image Preview