ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ (সিবিআই)-এর ডিরেক্টর অলোক ভার্মাকে পদে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ করে গ্রেফতার হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এই দাবি নিয়েই আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে দিল্লিতে সিবিআই’এর সদর কার্যালয়ের সামনে তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা এবং কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায়। এরপরই রাহুলকে প্রতীকী গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে দিল্লির লোধি কলোনি থানায় নিয়ে আসা হয়।
এসপিজি নিরাপত্তা থাকার কারণে রাহুলের জন্য ওই থানায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। পরে অবশ্য তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। রাহুলের সাথেই আটক করা হয় কংগ্রেসের কয়েকজন নেতাকে।
লোধি কলোনি থানা থেকে ছাড়া পেয়ে সংবাদমাধ্যমকে রাহুল জানান, প্রধানমন্ত্রী দৌড়াতে বা লুকোতে পারেন, তবে শেষ পর্যন্ত সত্য সামনে আসবেই। সিবিআই ডিরেক্টরকে অপসারণ করে কোন লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রী সিবিআই ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন, এর ফলে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এরআগে বিক্ষোভ চলাকালীন রাহুল জানান, মধ্যরাতে সিবিআই মহাপরিচালককে এভাবে সরিয়ে দেওয়া অসাংবিধানিক পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছেন-সেটা সিবিআই হোক বা নির্বাচন কমিশন। এর পিছনে একটাই কারণ রয়েছে-তা হল চৌকিদার আসলে চোর। তিনি ৩০ হাজার কোটি রুপি অনিল আম্বানির পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
রাহুল ছাড়াও এদিনের বিক্ষোভে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতানেত্রীরা। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম, আম আদমি পার্টির মতো বিরোধী দলগুলির নেতারাও। সিবিআই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও দাবি করেন তারা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে নাটকীয়ভাবে সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মা এবং স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে তাদের পদ থেকে অপসারিত করা হয়। এরপরই তাদের লম্বা ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দুই কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই ডিরেক্টর পদে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় এম. নাগেশ্বর রাও-কে। কিন্তু এভাবে অপসারণ ও নাগেশ্বরকে নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অলোক ভার্মা। এরপরই রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আসরে নামে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলিও।
কংগ্রেসের বক্তব্য অলোক ভার্মা ‘রাফায়েল’ যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির তদন্তে অগ্রসর হয়েছিলেন বলেই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার।