ধনদেবীর আরাধনায় ঘরের লক্ষ্মীই শেষ কথা। টুঁ-শব্দও চলে না তৃণমূল নেতার। হিল্লি-দিল্লি করে বেড়ান আর সাংসদকে ঠাকুর ঘরে ঢুকতে হয় স্ত্রী-র অনুমতি নিয়েই! কোজাগরী লক্ষ্মী পূজাতে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের ছবিটা ঠিক এমনই।
সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির লক্ষ্মী পূজা নিয়েই কথা হচ্ছে। প্রতি বারের মতো এবারও নিষ্ঠাভরেই ধনদেবীর আরাধনা করছে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। যদিও এখানে সাংসদ এই মহা আয়োজনে স্রেফ নামেই কর্তা। গোটা কর্মকাণ্ডটাই একাহাতে সামলাচ্ছেন কর্ত্রী। কুমোরটুলিতে প্রতিমা বায়না দেওয়া থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা, প্রতিমা সাজানো, ফলাদি তৈরি, নৈবেদ্যের আয়োজন-সবই একাহাতে করছেন বিধায়ক।
তিনি আবার ছোঁয়াছুঁয়ি পছন্দ করেন না। এমনকি সুদীপ আমিষ আহার করেছেন কি না, সেটা জেনেই তাঁকে এনট্রি দেওয়া হয়েছে পুজার ঘরে। তবে গিন্নির এই কমান্ডে একেবারেই আপত্তি নেই কর্তার। উল্টে এক মনে ধনদেবীর আরাধনাতেই মনোনিবেশ করেছেন তিনি। দেবী লক্ষ্মীর কাছে সাংসদের এবার একটাই চাওয়া, ২০১৯-এ যেন ভারতের দায়িত্ব পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘মা, মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করে দাও’
একই কথা তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সির মুখেও। তিনিও মনে প্রাণে এই প্রার্থনাই করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যেন আগামী বছর দেশের মসনদে অধিষ্ঠিত হন।