সকালের নাশতায়, বিকেলের আড্ডায়, কাজের বিরতিতে, দাওয়াতে-আপ্যায়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়েই থাকে চা। চীন ও জাপানে প্রাচীনকাল থেকে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে চা ব্যবহার করা হয়ে আসছে। বিশ্বজুড়ে কয়েকশ প্রজাতির চায়ের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন উপকারিতা।
তেমনি চার ধরনের চায়ের উপকারিতা এখানে তুলে ধরা হলো-
ব্ল্যাক টি-
বাঙালির সবথেকে পরিচিত চা। এই চায়ে ক্যাফারিনের পরিমাণ সবথেকে কম থাকে। এই চা খেলে হাড় ভাল থাকে। এতে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও বাড়ে। এ ছাড়া ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে।
তুলসী চা-
স্তন ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে তুলসী বিশেষ সহায়ক। তুলসী চা শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করে, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানুষের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়, রোগ-প্রতিরোধশক্তি দ্বিগুণ হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। হাড়ের গাঁথুনিতে ব্যথা দূর করে এবং শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে।
গ্রিন টি-
স্বাস্থ্য সচেতন যাঁরা, তাদের খুব প্রিয় এই চা। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এটি এক দিনে ৭০ কালরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করে। তার মানে নিয়মিত গ্রীন টি পানের মাধ্যমে বছরে ৭ পাওন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, গ্রিন টি শরীরের প্রতিটি শিরায় কাজ করে। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। তাই কোনো কারণে রক্ত চাপে পরিবর্তন হলেও কোন ধরনের ক্ষতি করে না। তাছাড়া গ্রীন টি রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেক কমে যায়। গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়াতে সাহায্য করে। এই চা দিনে দু’কাপ করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
লেবু চা -
মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে শরীরের প্রায় প্রতিটি ভাইটাল অর্গ্যানের কর্মক্ষমতা বাড়াতে লেবু চায়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে লেবুতে উপস্থিত একাধিক কার্যকরী উপাদান আমাদের শরীরে প্রবেশ করা মাত্র নিজেদের খেল দেখাতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে আমাদের দেহের সচলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের প্রকোপও হ্রাস পেতে থাকে। শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব পুরোন করে । প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ লেবু চা শরীর এর জন্য খুব ভাল।
চা পান চলে সারা বিশ্ব জুড়ে । যখন চা খাব, তখন চায়ের গুন সম্পর্কে জেনে ভাল চা খাব ।