প্রেমের প্রতীক তাজমহল নিয়ে বিতর্ক, আলোচনার শেষ নেই। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আমলে তৈরি হয়েছিল অবিশ্বাস্য সুন্দর এই স্থাপত্য। শাহজাহানের সব থেকে প্রিয় বেগম মমতাজ মহলের মৃত্যুর পরে, তাঁর স্মৃতিতেই নির্মিত হয় শ্বেতশুভ্র তাজমহল। মহলের অন্দরে রয়েছে কবরও।
তাঁর সব থেকে প্রিয় বেগম মমতাজ মহলের মৃত্যুর পরে, তাঁর স্মৃতিতেই নির্মিত হয় শ্বেতশুভ্র তাজমহল। মহলের অন্দরে রয়েছে কবরও। শুধু যে বিশ্বের এই ‘আশ্চর্য’ দেখতেই দেশ-বিদেশের মানুষ ভিড় করেন আগ্রায়, তা নয়। স্থাপত্যের অন্দরে রাখা কবরও একটি দ্রষ্টব্য।
কিন্ত, মমতাজ বেগমের এই কবর নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট ধোঁয়াশা। ইতিহাসবিদদের মতে, মুঘল সম্রাজ্ঞীর কবর আসলে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরে। এবং সেই সৌধের নাম ‘আহুখানা’।
জানা যায়, সন্তান প্রসবের সময়েই মৃত্যু হয় মমতাজের। এবং মৃত্যুর পরে ছ’মাস বুরহানপুরেই ছিল তাঁর কবর। তার পরে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রায়। সেখানেই যমুনা নদীর পাড়ে, একটি বাগানে রাখা ছিল সেই দেহাবশেষ।
২২ বছর এমন ভাবে থাকার পরে, তাজমহল নির্মাণ সমাপ্ত হলে মমতাজ বেগমের দেহাবশেষ রাখা হয় মহলের অন্দরে। যদিও তা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। কারণ মৃত্যুর এতো বছর পরে মমতাজের দেহাবশেষ মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে তাজকে শুধুমাত্র একটি স্মৃতিসৌধ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।