Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাত বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে বাশার আল-আসাদের কৌশলই কি জয়ের দ্বারপ্রান্তে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৫৫ PM
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


সিরিয়ায় সাত বছরের বেশি সময় ধরে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি এখন অনেকটা জয়ের দ্বারপ্রান্তে।

দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই রক্তক্ষয়ী নৃশংস যুদ্ধে বাশার আল-আসাদ কীভাবে, কোন কৌশলে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হলেন তার আদোপান্ত উদঘাটন করেছে আন্তজার্তিক গণমাধ্যম। অনুসন্ধান বলছে, সিরিয়ায় যুদ্ধজয়ের কৌশলে রাসায়নিক অস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে কমপক্ষে ১০৬টি রাসায়নিক হামলা হয়েছে।

রাসায়নিক হামলাগুলো যে নিশ্চিতভাবে হয়েছে, এ ব্যাপারে বিশ্বগণমাধ্যমে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে। অথচ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাসায়নিক অস্ত্র চুক্তিতে (সিডব্লিউসি) সই করেছিলেন। আর তিনি তাঁর দেশের রাসায়নিক অস্ত্রের ভান্ডার ধ্বংস করতে সম্মত হয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের হুমকি সত্ত্বেও সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধে ব্যাপকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রাসায়নিক অস্ত্রের হামলায় দেশটিতে শিশুসহ বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

রাসায়নিক হামলার জন্য পশ্চিমারা বাশার আল-আসাদ সরকারকে দায়ী করে আসছে। কিন্তু বাশার আল-আসাদ রাসায়নিক হামলার দায় বরাবরই বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে আসছেন। তাঁর ভাষ্য, ২০১৩ সালে হস্তান্তরের পর থেকে তাঁর সরকারের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র আর নেই। সিরিয়া সিডব্লিউসিতে স্বাক্ষরের পর থেকে শুরু করে দেশটিতে রাসায়নিক হামলার ১৬৪টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছে বিবিসি।

 

Bootstrap Image Preview