ভারতের আসামে দেশটির জেনারেল কোর্ট মার্শাল ‘ভুয়া বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় সাত সেনা কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে একজন সাবেক মেজর জেনারেল, দুইজন কর্নেল ও চারজন সৈনিক রয়েছেন।
১৯৯৪ সালের আসামে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৫ ছাত্রনেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় আদালত শনিবার এ রায় দেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামের দিবরুগড় জেলার দিনজানে আদালত বসে এ রায় ঘোষণা করা হয়। তবে এ রায় তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না। রায়টি অনুমোদনের জন্য কলকাতার পূর্বাঞ্চলের আর্মি কমান্ড ও দিল্লি আর্মি হেড কোয়ার্টারের সম্মতি লাগবে। তারপরই এ রায় কার্যকর হবে।
এই বিষয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, রায়টি উভয় জায়গা থেকে অনুমোদন পেতে দুই থেকে তিনমাস সময় লেগে যাবে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাম ফ্রন্টিয়ার টি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) রামেশ্বর সিংহকে হত্যার ঘটনায় আসামের সাবেক মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা জগদীশ ভূঁইয়া একটি মামলা করেন।
এ ঘটনার কিছু দিন পরে ১৯৯৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনসুকিয়া জেলা থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এদের মধ্যে ৫ জনকে উলফার (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম) সদস্য ‘আখ্যায়িত’ করে বন্দুকযুদ্ধে মেরে ফেলা হয়। এ ঘটনায় বাকি চারজন মুক্তি পায়।
জগদীশ ভূঁইয়া নিহতদের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি গৌহাটি হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশনটি আমলে নিয়ে আদালত ওই ৯ জনকে নিকটের কোনো থানায় হাজির করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশমতে, ৫ জনের মৃতদেহ ভোলা পুলিশ স্টেশনে আনা হয়।
এ ঘটনায় কোর্ট মার্শালের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় চলতি বছরের ১৬ জুলাই এবং শেষ হয় ২৭ জুলাই। বিচার প্রক্রিয়া শেষে শনিবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।