Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আন্দোলনের মাঝে দেশে ফিরেছেন আকবর, মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৩৩ PM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৩৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


দেশের মাটিকে পা রেখেই বুঝতে পারলেন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা #মিটু-র ঝাঁঝ কতখানি! রবিবার সকালে নাইজেরিয়া থেকে দিল্লি পৌঁছন কেন্দ্রী মন্ত্রী এম জে আকবর। বিমানবন্দরে পা রাখা মাত্রই সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থা নিয়ে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করতেই তিনি শুধু বলেন, “এ বিষয়ে পরে বিবৃতি দেওয়া হবে।” এর বেশি আর কোনও মন্তব্যই করেননি আকবর।

এদিকে গোটা ভারতজুড়ে চলতে থাকা হ্যাশট্যাগ মিটু আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নামেও উঠে আসছে যৌন নির্যাতনের পুরনো অভিযোগ।

সেই তালিকায় আছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। আন্দোলনের মাঝেই রোববার সকালে দেশে ফিরেছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলছে, বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা চাইতে পারে সরকার। একই সঙ্গে, তিনি মন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্তও হবে দলীয় স্তরে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার আগে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন মন্ত্রী আকবর। জড়িত ছিলেন বহু প্রকাশনার সঙ্গে। তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আসার পর তার পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।

৮ অক্টোবর সাংবাদিক প্রিয়া রামানি টুইট করে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বছর খানেক আগে ভোগ ম্যাগাজিনের ভারত সংস্করণে প্রকাশিত প্রবন্ধে প্রিয়া এই যৌন নির্যাতনের কথা বলেছিলেন। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘সেই ঘটনার জন্য দায়ী এম জে আকবর।’ এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকজন নারী যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন, যাদের বেশিরভাগই সাংবাদিক। তাদের অভিযোগ, মন্ত্রী আকবর সম্পাদক থাকাকালীন তারা যৌন হেনস্তার শিকার হন।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নাইজেরিয়া সফর শেষে রোববার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছান মন্ত্রী আকবর। বিমানবন্দরেই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চান সাংবাদিকরা। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরে বিবৃতির মাধ্যমে এ বিষয়ে জানানো হবে।’

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার পদত্যাগ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একপক্ষ তার পদত্যাগ চাচ্ছে। অন্যপক্ষ বলছে, তার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত নিয়মমাফিক অভিযোগ না আসায় তার পদত্যাগ করা উচিত নয়। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে।

তবে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আকবরের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, ‘যারা অভিযোগ করেছেন তাদের লজ্জিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’ সামাজিক বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী রামপ্রসাদ অটওয়ালে সরাসরি এম জের পদত্যাগ চেয়েছেন। নারীকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধিও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চেয়েছেন।

শুধু তা-ই নয়, হ্যাশট্যাগ মিটুর অভিযোগ শুনতে চার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে কমিটি তৈরির কথাও বলেছেন মানেকা। অন্যদিকে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠায় আকবরের পদত্যাগের দাবিতে সরব বিরোধীদলগুলো। কংগ্রেস থেকে সিপিএম প্রকাশ্যেই মন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছে।

Bootstrap Image Preview