Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভারতে এবার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় ‘হিজড়ারা’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৫৪ AM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৫৪ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


নারী-পুরুষের একচেটিয়া গ্ল্যামার জগতে প্রবেশ করেতে যাচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ তথা হিজড়া। আর এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের মুম্বাই শহরে। প্রথাগত সৌন্দর্যের ধারণা এবার ভেঙ্গে যাচ্ছে। সেখানে হিজড়াদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মিস ট্রান্সকুইন ভারত’ নামের একটি প্রতিযোগিতা।

‘মিস ট্রান্সকুইন’ শিরোপার জন্য জোর লড়াইয়ে নামে প্রায় একশ জন হিজড়া। ভারতের মুম্বাই শহরে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা সবাই হিজড়া।

এমন প্রতিযোগিতার কথা সবার আগে মাথায় আসে একসময়ের বলিউডের নামকরা অভিনেত্রী রিনা রাইয়ের। প্রতিযোগিতার মূল পৃষ্ঠপোষকও তিনি। তিনি বলেন, সমাজের পক্ষে আমরা তাদের প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা দিতে শুরু করলেই কেবল এই সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি ও অন্তর্ভুক্তি সম্ভব। তাছাড়া সমাজ তাদের প্রতি যে অবজ্ঞার মনোভাব দেখায় এবং আচরণ করে সেটা খুবই অমানবিক।

কয়েক বছর ধরে এই সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে আসা ‘মিস ট্রান্সকুইন ভারত’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র রিনা রাই বলেন, ‘আমি এখন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ক্ষমতায়ন, দৃশ্যমান উপস্থিতি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই। এই প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা আসলে একটি বহুমুখী সমাজ গঠনে আমাদের অবদান।’

‘মিস ট্রান্সকুইন’ নামে এ প্রতিযোগিতার শিরোপার লড়াইয়ে চূড়ান্ত পর্বে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, কলকাতা, কর্ণাটকসহ নানা প্রদেশ থেকে আসা আঞ্চলিক বিজয়ীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, ‘মিস ট্রান্সকুইন’ খেতাব জয়ে শরিক হতে হলে অনেক বিষয়ে জ্ঞানও থাকতে হয়। তাই প্রতিযোগীদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করানোর মাধ্যমে তাদের এ যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এছাড়াও ক্রীড়া ও সংস্কৃতিভিত্তিক বাঁছাই এবং প্রশ্নোত্তর রাউন্ডও ছিল।

২০১৮ সালের ‘মিস ট্রান্সকুইন ভারত’ শিরোপা জিতেছেন বীণা সেন্দ্রে (মাঝে)। প্রথম রানার আপ হয়েছেন সানিয়া সুদ (বাঁ দিকে) ও দ্বিতীয় রানার আপ নিমিতা আম্মু (ডানে)।

‘মিস ট্রান্সকুইন ভারত’ শিরোপাজয়ী বীণা সেন্দ্রে থাইল্যান্ডে ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল কুইন’ প্রতিযোগীতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এ প্রতিযোগিতার আয়োজকরা বলেন, ‘এই উদ্যোগটিকে আমরা উভয়লিঙ্গ বা ‘ট্রান্সজেন্ডার’ সম্প্রদায়ের জন্য একটি মঞ্চে পরিণত করতে চাই, যার মাধ্যমে কর্পোরেট দুনিয়া ও বলিউডের পাশাপাশি সমাজেও তারা সঠিক স্বীকৃতি পেতে পারেন।’

Bootstrap Image Preview