সুপ্রিম কোর্টের রিপোর্ট তলব। ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট। অ্যাভিয়েশন কম্পানি ডাসাল্টের কাছ থেকে ভারতের রাফায়েল যুদ্ধবিমান ক্রয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে 'দুর্নীতিগ্রস্ত' বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রসের প্রেসিডন্ট রাহুল গান্ধী।
ফ্রেঞ্চ মিডিয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, রাফায়েল বিক্রয় বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ডাসাল্টকে অবশ্যই ধরকুবের অনিল আম্বানির কম্পানির সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে কাজ করতে হবে। এ রিপোর্ট প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাহুল প্রধানমন্ত্রী মোদিকে 'দুর্নীতিগ্রস্ত' এবং 'অনিল আম্বানির প্রধানমন্ত্রী' বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলাঁদ বলেছিলেন, রাফাল চুক্তিতে অনিল অম্বানির সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভারত সরকার চাপ দিয়েছিল। তার পর থেকেই রাফাল নিয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ান রাহুল। তার মধ্যে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট রাফাল চুক্তির সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত যাবতীয় নথি তলব করেছে। এ নিয়ে রাতেই টুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন রাহুল গাঁধী। বলেন, এটা পরিষ্কার, রাফাল চুক্তি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীই।
গত বছরই এই যৌথ বাণিজ্য বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাসাল্ট অ্যাভিয়েশনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা লইক সেগালেন। মিডিয়াপোর্ট এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডাসাল্টের সঙ্গে আম্বানির রিলায়েন্স ডিফেন্সের জয়েন্ট ভেঞ্চারকে অনেকটা বাধ্যতামূলক কাজ হিসেবে ইঙ্গিত দেন। ভারতে রাফায়েল রপ্তানির কাজ পেতে এই জয়েন্ট ভেঞ্চারের বিকল্প নেই বলে তুলে ধরেন তিনি।
কংগ্রেস অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুল বলেন, এটা পুরোপুরি পরিষ্কার যে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত। এবং দুঃখজনকভাবে তার পুরো ক্যাম্পেইন দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তিনি আসলে আপনাদের প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি অনিল আম্বানির প্রধানমন্ত্রী। আবারো বলি, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত, যোগ করেন রাহুল।
রাফায়েল নিয়ে চলমান বিতর্কের মাঝেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সিথারামানের ফ্রান্স সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি। বলেন, এখন আপনারা দেখছেন যে প্রতিরক্ষ মন্ত্রী হঠাৎ করেই ফ্রান্সে চলে গেরেন। তিনি সেখানে ডাসাল্টেও সফর করবেন। এখানে এত তড়ঘড়ির কারণটা সবাই চিন্তা করে দেখুন।
রাহুলের অভিযোগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেখানে গিয়ে ডাসাল্টের ওপর চাপ প্রয়োগ করবেন তাদের উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে। ডাসাল্ট বিশাল এক চুক্তি করতে যাচ্ছে। কাজেই ভারত সরকার যা বলবে ডাসাল্ট তাই মেনে নেয়ার চেষ্টা করবে। এ কম্পানির ভেতরের নথিপত্র দেখলে কী ঘটতে চলেছে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।