আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মাঝেও উইঘুর মুসলিমদেরকে ক্যাম্পে আটক রাখার বিষয়টি আইন পাশের মাধ্যমে বৈধ করলো চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় ঝিনঝিয়াং প্রদেশ।
ঝিনঝিয়াং প্রদেশের কর্মকর্তাদের দাবি, ইসলামি কট্টরবাদ মোকাবেলার অংশ হিসেবে আটক রাখা হয়েছে। এসব ক্যাম্পের মাধ্যমে মুসলিমদের উগ্রপন্থা থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। ক্যাম্পগুলোকে আদর্শিক রূপান্তরের কেন্দ্র বলেও বর্ণনা করেন তারা।
জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমানে চীনে ১০ লাখ মুসলিমকে ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে। এসব ক্যাম্পের মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলিমদের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের অনুগত করা এবং তাদের বিশ্বাস ত্যাগ করতে উদ্বুদ্ধ করা বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্মীয় উগ্রবাদের কবলে পড়া উইঘুরদের নতুন করে শিক্ষা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে কীভাবে তা করা হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি চীনা কর্মকর্তারা।
চীনের নতুন আইনে বলা হয়েছে, যেসব আচরণের কারণে বন্দী শিবিরে আটক করা হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে খাবার ছাড়া অন্য হালাল পণ্য ব্যবহার, রাষ্ট্রীয় টিভি দেখতে অস্বীকার করা, রাষ্ট্রীয় রেডিও শুনতে অস্বীকার করা, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখা। এসব বন্দী শিবিরে চীনা ভাষা শেখানো হবে, চীনের আইন শেখানো হবে এবং বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, বলছে চীন।