Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভারতে যৌন হয়রানির অভিযোগে মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৩৭ PM
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


যৌন হয়রানির অভিযোগে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের পদত্যাগ দাবি করেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। শিশুদের যৌন হেনস্থার ক্ষেত্রে অভিযোগ জানানোর সময়সীমা তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে আইন মন্ত্রককে চিঠি লিখলেন নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মেনকা গাঁধী।

গত ৮ অক্টোবর দুই নারী সাংবাদিক টুইট বার্তায় যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় আকবরের পদত্যাগ ও ঘটনার তদন্তের দাবি উঠেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

কংগ্রেস দলীয় সংসদ সদস্য জয়পাল রেড্ডি বার্তাসংস্থা এএনআই’কে বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর, হয় তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের সন্তোষজনক উত্তর দিবেন নয়তো পদত্যাগ করবেন। আমরা এ ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।’

ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধি ৪৬৮ ধারা অনুযায়ী, অভিযোগ প্রমাণিত হলে শিশুদের যৌন নিগ্রহের ঘটনায় তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে অভিযুক্তের। তবে যদি তা ঘটনার তিন বছরের মধ্যে জানানো হয়, তবেই তা গ্রাহ্য হবে।

এছাড়াও সরকার দলীয় কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী মণিকা গান্ধি আকবরের বিরুদ্ধে তোলা যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এ ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। ক্ষমতায় থাকলেই পুরুষরা এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কাজ করে থাকেন। বর্তমানে নারীরা যখন একজোট হয়ে কথা বলার সাহস পাচ্ছে তখন অবশ্যই এ ধরণের অভিযোগগুলোর ব্যাপারে আমাদের আরও কঠোর হতে হবে।’

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে আকবরের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর দেননি। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে একাধিক নারী সাংবাদিক এই বিষয়ে সুষমাকে প্রশ্ন করেন।

তারা জানতে চান, যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। আপনি নারী এবং মন্ত্রণালয়ের প্রধান। এসব অভিযোগের কি কোনো তদন্ত হবে? সুষমা স্বরাজ প্রশ্ন শুনলেও কোনো মন্তব্য না করে নীরবে হেঁটে চলে যান।

সম্প্রতি ভারতে একের পর এক নারী সাংবাদিক তাদের সাবেক সম্পাদক, ব্যুরো চিফ বা ঊর্ধ্বতন বসের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অজস্র অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সামনে আনতে শুরু করেছেন।

কয়েকটি ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন, কোথাও আবার সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রতিষ্ঠান অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তারপরও প্রভাবশালী এই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আদৌ শাস্তির আওতায় আনা যাবে কি-না, পর্যবেক্ষকেরা তা নিয়ে সন্দিহান।

উল্লেখ্য, এক বছর ধরে সফল মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভে ওয়েইনস্টেনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। যা ‘#মি টু’ (#MeToo) নামে পরিচিত। একের পর এক অভিনেত্রী ও পরিচিত নারী প্রতিষ্ঠিত ও ক্ষমতাবান এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন, যেগুলো আদালতের বিচারাধীন। তারই রেশ ধরে ভারতেও শুরু হয়েছে এক ‘আন্দোলন’।

Bootstrap Image Preview