এলাকাটির নাম মিঠি। এটি পাকিস্তানের একটি এলাকা। এখানে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাস। মিঠিতে হিন্দু অধিবাসীর সংখ্যা ৬০ হাজার। হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায় এখানে ভাই ভাই। পাকিস্তানে ৯৫ শতাংশ নাগরিক মুসলিম। মিঠিতে ৬০ হাজার হিন্দু রয়েছে। রয়েছে শ্রীকৃষ্ণমন্দির। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মন্দিরে ঘণ্টা বাজায়। ঘণ্টার শব্দ মিশে যায় আজানের ধ্বনির সঙ্গে।
এলাকার ধর্মীয় নেতাদের কারণে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বেশি বৈষম্য থাকে। তবে মিঠিতে এসবের কোনো প্রভাব পড়েনি। এখানে হিন্দু ও মুসলিমরা মিলেমিশে থাকে। নিজেদের ধর্মীয় উৎসবে একে অন্যকে মিষ্টি ও অন্যান্য উপহার দেয়।
করাচি থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে মিঠি শহরের অবস্থান। মিঠিতে ৩৬০টি মন্দির রয়েছে। ১২টি মন্দির সচল। বাকি মন্দিরগুলো বন্ধ।পাকিস্তানের মানবাধিকার দৃষ্টিতেও পাকিস্তানে হিন্দুদের সাধারণত সন্দেহের চোখে দেখা হয়। হিন্দুরা এখানে নিজেদের নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে থাকে। কিন্তু মিঠির পরিস্থিতি অন্য রকম।
মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্ধুত্ব আর ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠেছে অনেকেই। প্রজন্মের পর প্রজন্ম দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে এই মৈত্রী ও ভালোবাসার ধারাবাহিকতা রয়েছে। মিঠির শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে ভৌগোলিক অবস্থানও প্রভাব ফেলেছে। ভারতের রাজস্থানের কাছে থারপারকার মরুভূমিতে অবস্থিত মিঠি। স্থানীয় অধিবাসীরা বলেন, ১৬ শতকের শুরুতে শান্তিকামী হিন্দু সম্প্রদায় এই শহর গড়ে তোলে। মিঠির মাটি উর্বর নয়। সহজে পানি ঢুকতে পারে না।