Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কপাল পুড়ছে জোকোর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:২২ PM
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:২২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সুনামির ধাক্কায় বিধ্বস্ত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলের সুলাওয়েসি দ্বীপ। ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ১৯ ফুট উঁচু সুনামি। শুক্রবারের ওই সুনামিতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১ হাজার ৪০৭ জন।

পাঁচদিন পরও উদ্ধার অভিযান এখনও চলমান। দুর্যোগের শুরু থেকেই খাদ্য ও পানির জন্য হাহাকার। দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার এ আপতকালীন মুহূর্ত সামাল দিতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর রাজনৈতিক ভাগ্য এখন ঝুলে যেতে বসেছে।

রয়টার্স জানায়, আসবাবপত্র ব্যবসায়ী থেকে জাকার্তার মেয়র। এরপর ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন উইদোদো। তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি চিরাচরিত রাজনীতি ও সেনাবাহিনীর বাইরে থেকে ক্ষমতায় এসেছেন।

আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। কিন্তু সুনামির কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে তার ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণেই এখন বেশ জনপ্রিয় তিনি।

সুনামিতে বিধ্বস্ত হওয়ার দু’দিনেরও কম সময়ের মধ্যে জাকার্তা থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে পালু শহর পরিদর্শনে যান উইদোদো। তখন খাদ্য, পানি ও বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদা পূরণে বেপরোয়া শহরের অধিবাসীরা। অসহায় ও ক্ষুধার্ত লোকগুলোকে পর্যাপ্ত ত্রাণ না দিয়ে তাদেরকে ‘ধৈর্যশীল’ হওয়ার উপদেশ দেন উইদোদো।

বুধবার দ্বিতীয়বারের জন্য পালু পর্যবেক্ষণে যান তিনি। এবার উদ্ধার অভিযানে জোর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। কিন্তু এ কয়দিনের পর্যাপ্ত খাদ্য, জ্বালানি ও বেঁচে থাকার অবলম্বন না পেয়ে সরকারের প্রতি হতাশ হয়েছেন অধিবাসীরা। ইতিমধ্যে সুনামির পুরো ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।

সুনামির সতর্কতা ঠিকভাবে জারি করতে পারেনি সরকার। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে উইদোদো বলেছেন, সুনামি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা আগেই ঠিক করা দরকার ছিল। সেই সঙ্গে দ্রুতই এটা ঠিক করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সুনামির ঘটনায় সমালোচনার রাস্তা খোলা রেখেছে সরকারই।

২০০৪ সালে সুনামির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সুনামি ঘটে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। এতে ওই অঞ্চলের ১৩টি দেশের ২ লাখ ২৬ হাজার মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজারই ছিল ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা। এ ঘটনার পর দেশটিতে সুনামি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা বসানো হয়।

কিন্তু ২০১২ পর্যন্ত এটা কার্যকর ছিল। তারপর থেকেই এটা অচল পড়ে আছে। গত নির্বাচনের সময় এর মেরামতে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন উইদোদো। কিন্তু নিজের মেয়াদের চার বছর পার হলেও এর সংস্কার করতে পারেননি তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, উদ্ধার অভিযান এখনও শেষ হয়নি। এটা ভালোভাবে শেষ করতে হবে। অধিবাসীদের বেঁচে থাকার রসদ দিতে হবে। অবকাঠামো ঠিক করতে হবে।

Bootstrap Image Preview