প্রতিদিন বাড়ছে লাশের সংখ্যা। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে লাশের গন্ধ। চিকিৎসাকেন্দ্রের পাশে সারি সারি রাখা হয়েছে লাশ। গন্ধটা যে লাশের তা বুঝতে কষ্ট হবে না।
শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ায় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প ও সুনামির পর এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে পালু শহরে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৫ থাকলে আঘাত কত জোরদার ছিল তা বোঝা যায় চারদিকের ধ্বংসের মাত্রায়, আর লাশের গন্ধে।
স্থানীয়রা বলছেন, সুনামির ব্যাপারে তারা কোনো সতর্কবার্তা, বা কোনো এসএমএস - কোনো কিছুই পায়নি। একজন মৎস্যজীবী বলেন, জোরালো ভূমিকম্পের পরই তিনি দেখেছিলেন সাগরের পানি হঠাৎ পিছিয়ে যাচ্ছে।
সেটা দেখেই তিনি বুঝেছিলেন কি ঘটতে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার পরিবার আর ছেলেমেয়েদের বললেন উঁচু জায়গার দিকে দৌড়াতে।
তিনি নিজে অবশ্য সেখানেই রয়ে গিয়েছিলেন। কারণ তার চোখে পড়েছিল একাকী একটি শিশু। তাকে তিনি আঁকড়ে ধরে রাখলেন। ঠিক সেই সময় সুনামির দ্বিতীয় ঢেউটা এলো, এবং এই ঢেউটার আঘাতেই সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেল।
তিনি জানান, ঢেউটা তাকে একটা আমগাছের ওপর আছড়ে ফেলল, তার ওপর দিয়ে পানি চলে গেল এবং কেমন করে যেন তিনি আর তার ধরে-থাকা শিশুটি - দুজনেই বেঁচে গেলেন।